সিলেট: পুণ্যভূমি সিলেট থেকে মাঠের যাত্রা শুরু করছে বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। হযরত শাহজালাল রহ. এর মাজার জিয়ারত ও সমাবেশের মাধ্যমে ফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ। আজকের সমাবেশ থেকে ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে। সমাবেশ ঘিরে সারা দেশের দৃষ্টি সিলেটে। কর্মসূচি সফল করতে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এদিকে গতকাল হঠাৎ করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করায় উত্তাপ দেখা গিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশস্থল রেজিস্টারি মাঠের কয়েক শ’ গজের মধ্যে সকালে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ। যদিও নেতারা দাবি করেছেন এটি পাল্টা কোনো কর্মসূচি নয়।
ঐক্যজোটের সমাবেশের আগেই আওয়ামী লীগের কর্মসূচি শেষ হয়ে যাবে।
কর্মসূচিতে অংশ নিতে গতকালই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা সিলেট পৌঁছান। আজ সকালে ওলিদের মাজার জিয়ারত করে দুপুরে সমাবেশে যোগ দেবেন তারা। সমাবেশে সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য তুলে ধরার পাশাপাশি ফ্রন্টের সামনের কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে। একই সঙ্গে প্রথম সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি সুনির্দিষ্ট আহ্বান জানাবেন নেতারা। শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন ও সংসদ ভেঙে দেয়াসহ ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হবে। দাবি না মানলে পরবর্তী করণীয় নিয়েও ঘোষণা আসতে পারে।
এদিকে প্রশাসনের কড়াকড়ির মধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সমাবেশ নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহের কমতি নেই। রাস্তাঘাট, দোকানপাট বা গল্প আড্ডায় ঘুরেফিরে একই আলোচনা। নানা শ্রেণি, নানা পেশার মানুষের মধ্যে এ সমাবেশকে নিয়ে চলছে সম্ভাব্য চুলচেরা বিশ্লেষণ। আলোচনায় ওঠে আসছে নানা ইস্যুতে বর্তমান সরকারের অনড় অবস্থানের বিপরীতে ঐক্যফ্রন্টের দাবি। এ দাবি নিয়ে কি ঘোষণা আসবে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কি কৌশলে তা আদায় করা হবে, সিলেট সমাবেশের পর আর কি কি কর্মসূচি আসতে পারে ইত্যাদি নিয়েও রয়েছে চরম আগ্রহ। শুধু সিলেটবাসী নয়, এ সভায় চোখ সারা দেশের। সিলেটের মানুষও তেমনটাই মনে করছেন। তারা বলছেন, এই সমাবেশ শুধু সিলেটের সমাবেশ নয়, এই সমাবেশ শুধু একটি দল বা মতপথের সমাবেশ নয়, এ সমাবেশ দেশবাসীর সমাবেশ। নগরীর সাধারণ মানুষের মধ্যেও জনসভা ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
এদিকে দেরিতে হলেও ১৪ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয়ায় প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। নগরীর রেজিস্টারি মাঠে আজ দুপুর ২টার দিকে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সকাল থেকেই সভার প্রস্তুতি শুরু হয়। সেখানে মঞ্চসহ অন্যান্য কাজ তদারকি করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের ভাষ্য, তারা জনসভার প্রস্তুতির জন্য খুব কম সময় পেয়েছেন, তবে জনগণের ব্যাপক সাড়া তাদের আশান্বিত করেছে। নগরীতে দুপুরের পর থেকে পুলিশ মাইকিংয়ে বাধা দিলেও নীরবে জনতার ঢল নামবে জনসভায়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা বিএনপি মহাসচিব ঐক্যফ্রন্টের আরেক গগুরুত্বপূর্ণ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে গতকাল বিকালেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ সিলেটে আসেন। তাদেরকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সিলেট বিএনপি নেতাকর্মীরা।
গতকাল সকাল থেকেই রেজিস্টারি মাঠে জনসভার প্রস্তুতির কাজ তদারকি করছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। দুপুরের দিকে জনসভাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সিলেটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছেন।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন দলের নেতাদের বৈঠক হয়েছে। জনসভার অনুমতি দেরিতে পাওয়ার কারণে খুব বেশি প্রচারণা চালানো যায়নি। তারপরও যতটুকু সুযোগ পাওয়া গেছে, তাতে মানুষের ভেতরে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। মেয়র বলেন, যে ইস্যুতে সমাবেশ হচ্ছে সেটা শুধু সিলেটের বিষয় না। সারা দেশ এই জনসভার দিকে তাকিয়ে আছে। প্রচলিত আছে সিলেট থেকে যেকোনো কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়, চলমান ইস্যুতে এই কর্মসূচিও শুভ সূচনা এখান থেকেই। জনসভা থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, আজকে জনগণ জেগে উঠেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একদিনের নোটিশে জনগণ যেভাবে হাজির হয়েছে, সিলেটের এই সমাবেশেও তেমনি সাড়া পড়বে। বলেন, এ সমাবেশ যদি নির্বিগ্নে হয় তাহলে জনতার ঢল নামবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে, মাইকিং থামিয়ে দিয়েছে কিন্তু তারপরও আমরা আশা করি স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে এটি। কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেন, সমাবেশটি প্রাণবন্ত হবে, প্রচুর লোক সমাগম হবে। তিনি বলেন, বাইরের যারা আসছেন তারা আমাদের অতিথি, আমরা গর্বিত তারা এখানে আসছেন, প্রথম কর্মসূচির জন্য সিলেটকে বেছে নিয়েছেন।
সিলেট ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে ঘিরে সিলেটের বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে পুলিশ ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। তিনি বলেন, সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য গতকাল রাতভর পুলিশ বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। বিভিন্নস্থানে পুলিশ মাইকিংয়ে বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে এই অভিযোগ মানতে রাজি নয় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. সোহেল রেজা জানান, সমাবেশকে ঘিরে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য পুলিশ কারো বাসায় তল্লাশি চালায়নি। নিয়মিত মামলার আসামি ধরতেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তারপরও দল ও ঐক্যের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। জনসভা ঘিরে মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিএনপি কোনো সমাবেশ করতে পারেনি। আজ বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি আদায় ও ১১ দফা লক্ষ্য অর্জনে জনসভা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে অংশ নিতে সিলেটে পৌঁছান গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ প্রমুখ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতাকর্মীরা আজ সকালে এসে সিলেট পৌঁছাবেন। এরপর ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করবেন। পরে দুপুর ২টায় জনসভায় যোগ দেবেন তারা।
সিলেটে হঠাৎ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি, উত্তাপ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচারণা নিয়ে তারা গতকাল থেকে সিলেটে কর্মসূচি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আজ বুধবার সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠের কয়েকশ’ গজের মধ্যেই তারা লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করবেন। তবে সেই কর্মসূচি ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচির আগেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। আওয়ামী লীগ মাঠে নামায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে সিলেটে উত্তাপ বিরাজ করছে। এ কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে গতরাত থেকেই নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। পুলিশ বলছে- দুই পক্ষের কর্মসূচি থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকায়। সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে ঘিরে সিলেটে জোর প্রস্তুতি চলছে। বিএনপি সহ ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলের নেতারা প্রচার-প্রচারণায় মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগও। গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ হযরত শাহ্জালাল (রহ:) দরগাহ জিয়ারত করে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় তার সঙ্গে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মাজার জিয়ারতের পর তিনি নগরীর দরগাহ এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানিয়েছেন- ‘প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ও নৌকা মার্কার প্রচারণা সংবলিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু হয়েছে। সেটি তিনি মঙ্গলবার সিলেটে শুরু করলেন।’ তিনি বলেন- ‘দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার প্রতীক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকা। সরকারের উন্নয়নের কারণে সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। আমরা ভোটের আগে জনগণের কাছে আবারো উন্নয়নবার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’ প্রথমে তিনি সিলেট জেলা সভাপতি এডভোকটে লুৎফুর রহমান ও সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী সহ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাজার জিয়ারত করেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেন। প্রচারণা শুরু আগে দরগাহ ফটকে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশেও তিনি বক্তব্য রাখেন। মিসবাহ সিরাজ বলেন- উন্নয়নের কারণে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। আগামী নির্বাচনেও তারা নৌকার পক্ষে সমর্থন দেবে। আর মানুষের উপর বিশ্বাস রেখেই দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে- দরগাহ এলাকায় প্রচারণা চালানোর মাধ্যমেই গতকাল দিনের মতো কর্মসূচি শেষ করা হয়। কর্মসূচিতে কয়েকশ’ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। মিসবাহ সিরাজ জানান- সিলেটের কর্মসূচি তিনি শুরু করলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১১ টায় সিলেটের ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্ট থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু করবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মহানগর নেতারা জানিয়েছেন- তারা ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করবেন।
রাতে ধরপাকড়: সমাবেশের আগের রাতে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের সুবহানীঘাটস্থ বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ওই বাসার ভেতরে কেন্দ্রীয় নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাহরিয়ারসহ অন্তত ১০ জন কর্মীকে আটক করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে, পুলিশ আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিতে বিকালে সিলেটে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনাসহ সিনিয়র নেতারা। রাত ৮টার দিকে তারা সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমের বাসায় যান। এ সময় তাদের সঙ্গে সিলেট বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে সিলেট পুলিশের কয়েকটি টিম ওই বাসা ঘেরাও করে। একপর্যায়ে তারা বাসা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মহানগর সহসভাপতি ও সিটি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীসহ অন্তত ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ। পরে পুলিশের কয়েকটি টিম ওই বাসা ঘেরাও করে। এদিকে, রাত সোয়া ৯টায় পুলিশি ঘেরাও শিথিল হলে বিএনপি নেতারা ওই বাসা থেকে চলে যান। এই অভিযানে সিলেট বিএনপি নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতে সিলেটে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এদিকে, ওই বাসা থেকে কাউকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিলেটের কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ সুপার সাদেক কাউসার দস্তগীর।