হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ বাড়ির কাছে হাল চাষ, ঘন ঘন পানি পিপাস উল্লেখিত প্রবচন টি। ইতিহাসের তৈরি এই প্রবাদ বাক্যগুলোর গুরুত্ব রয়েছে।
আমাদের পূর্ববর্তী মানুষরা আমাদের জন্য বাক্যগুলো গঠন করেছেন। আজ আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে আমাদের জীবনেও এসেছে
নানা পরিবর্তন।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা(চাপারতল) গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া’কে হঠাৎ (২২আক্টোবর),সোমবার সকালে দেখা যাচ্ছে গরু দিয়ে কৃষি জমিতে হাল চাষ করতে,তার সাথে কথা বলে যানা যায় এখন বিঙ্গানের নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যাবহার হচ্ছে,তাই আর আগের মতো গরু দিয়ে হাল চাষ করি না,মনে পরলে গরু দিয়ে চাষ করি লাঙ্গল ,জোয়াল গুলো পুরনো হয়ে জাচ্ছে অামার বাবা একাব্বর আলী এগুলো দিয়ে আগে হাল চাষ করতো।শখের বসত আজ এই হাল নিয়ে বেরিয়েছি।
আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। লেগেছে কৃষকের জীবনে।তাই তো কৃষি আন্দোলনের ছোঁয়ায় দেখে যায় বেশ পরিবর্তন।
তাই আর সকালবেলা (বর্ষা মৌসুমে) পাকা কাঁঠাল দিয়ে- পান্তা খেয়ে কাধে নাঙ্গল-জোয়াল আর জোড়া গরুর দড়ি হাতে মাঠে আর যেতে দেখা যায়না কৃষকদের।
জমি চাষের হাজার বছরের পুরানো কৃষি প্রযুক্তির(লাঙ্গল ও জোয়াল) পুরানো ধারা হারিয়ে জাচ্ছে।তার জায়গা দখল করছে নতুন প্রযুক্তি।
কৃষিপ্রধান আমাদের এই দেশ। বলা হয়ে থাকে কৃষকই জাতির মেরুদণ্ড। গোলা ভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ ও গোয়াল ভরা গরু, গ্রাম বাংলার কৃষকদের প্রাচীন ঐতিয্য হলেও বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়া ও জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারনে, সেই ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে ।
আবহমানকাল থেকে বাংলার কৃষক নানা ধরনের উপকরণ দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে আসছে। জমি চাষ করতে লাঙ্গলের ব্যবহার সবার জানা।এক সময় বাংলার কৃষক শুধুমাত্র এই লাঙ্গলের সাহায্যেই অধিকাংশ জমি চাষ করত।
গরু দিয়ে হাল চাষ করা বাঙ্গালী সংস্কৃতির চিরা চরিত দৃশ্যপট থাকলেও তা আজ কাল তেমন একটা চোখে পড়েনা।
কালের বিবর্তনে প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় সেই পুরনো প্রথা গরু দিয়ে ফসলি জমিতে চাষাবাদ এখন আর খুব একটা হয় না; চোখেও পড়ে না সেসব পুরনো দৃশ্য।
প্রযুক্তির আগমনে হারিয়ে যাচ্ছে জমিতে হালচাষে গরুর ব্যবহার। এছাড়া কৃষক পরিবারেও গরু পালার প্রচলন প্রায় উঠেই যাচ্ছে।গরু পালন এখন হয়ে উঠছে খামার প্রকল্পে।