কিছুদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এরই মধ্যে চলছে বিশ্বাসঘাতকতার মামলা।
২০০৮ মুম্বাই হামলায় অভিযুক্তরা সবাই পাকিস্তানি ছিল, একথা বলেই বিপাকে পড়েছেন নওয়াজ শরিফ। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানিতে গিয়ে শরিফ বললেন, পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসার জন্যই ভারত ছেড়ে চলে এসেছিল তাঁর পরিবার।
সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় আরও দু’জন জড়িত। এদের মধ্যে রয়েছেন আরও এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসী ও পাক সাংবাদিক সিরিল আলমেডা। এরাও আদালতের শুনানিতে নিজেদের পক্ষ থেকে জবাব দিয়েছেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় অন্তত ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। ১০ জন পাক জঙ্গি সেই হামলা চালায়।
যাদের মধ্যে ন’জন পুলিশের গুলিতে মারা যায়। আর জীবিত আটক করা হয়েছিল আজমল কাসাভকে। যাকে পরে ফাঁসি দেওয়া হয়।
এদিনের মামলায় নওয়াজ শরীফ বলেন, ‘একজন যিনি দেশকে পরমাণু শক্তিধর করে তুলেছে, সে কীভাবে দেশদ্রোহী হতে পারে? উপনির্বাচনে যার দল সবথেকে বেশি ভোট পেল সে কীভাবে দেশদ্রোহী হতে পারে। আমি লক্ষ লক্ষ পাকিস্তানির প্রতিনিধিত্ব করি, তাহলে কী তারা বিশ্বাসঘাতক?” তিনি আরও বলেন, তাঁর পরিবার পাকিস্তানকে ভালোবেসেই ভারত ছেড়েছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি ও আমার পরিবার পাকিস্তানের প্রত্যেক ইঞ্চি মাটিকে ভালবাসি। ‘
উল্লেখ্য, নওয়াজ শরীফের বাবা মিঞা মোহাম্মদ শরীফ থাকতেন পাঞ্জাবের জাতি উমরায়। ১৯৪৭-এ লাহোরে চলে যান তারা।