এম আরমান খান জয়,গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বানিয়ারচর গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীদের পূর্ব পরিকল্পনার স্বীকারে জখম হতে হলো সমাজ সেবী টুঙ্গিপাড়া নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি নারী সাংবাদিক মেরী বৈরাগীসহ আরো চার জনকে।
মামলার বিবরন থেকে জানা যায়,বানিয়ারচর গ্রামের এলিয় বৈরাগীর স্ত্রী বাংলাদেশ লিভিং ওয়ার্ড লোথারেন চার্চ এর ভাইস চেয়ারম্যান মেরী বৈরাগী তার তালবাড়ি বাসভবনে সুপারভাইজার সহ কয়েকজনকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানিক আলোচনা করছিলেন।
এমতবস্থায় পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী বানিয়ারচরের মিলন বিশ্বাস, মনতোষ ব্যানার্জি সহ ৯-১০ জন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট ও ভাংচুর শুরু করে ।এতে মেরী বৈরাগীর গলায় থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেন নিয়ে নেন সন্ত্রাসিরা ।
ঘটনায় সন্ত্রাসীদের আক্রমনে আতœচিৎকারে ছুটে আসা পথচারী শাহীন মাতুব্বারসহ আহত হন আরো কয়েকজন ।এসময় শাহীনের কাছে থাকা মাছ বিক্রি করা নগদ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা নিয়ে নেয় সন্ত্রাসিরা।
আহত ব্যাক্তিদের মধ্যে শাহীনকে প্রথমে রাজৈর এবং পরে তার শারিরীক অবস্তার অবনতি হলে তাকে সেখান থেকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়
ওই ঘটনায় গুরুতর আহতাবস্থায় মেরী বৈরাগী ও তার প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার এনায়েত ফকিরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান।
উল্লেখ মেরী বৈরাগী ও মিলন গংদের সাথে দীর্ঘ দিন যাবত বেন্নবাড়ী মৌজায় ১৫ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১১ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টায় মিলন বিশ্বাস তার বাহিনী নিয়ে মেরী বৈরাগীর উপর এ হামলা চালায়।
এ ঘটনায় মেরী বৈরাগীর পিতা লক্ষী কান্ত বাড়ৈ বাদী ৯ জনকে আসামী করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় আসামীরা হলেন, মিলন বিশ্বাস,মনতোষ ব্যানার্জি,যুগল বিশ্বাস,জিহুদা বিশ্বাস, রিগান বিশ্বাস, অমিয় বিশ্বাস,মারগেট বিশ্বাস,রোজিনা বিশ্বাস, জুয়েল বৈরাগী,সহ অজ্ঞাত আরো চার জন।
মেরী বৈরাগীর পিতা লক্ষী কান্ত বাড়ৈ বলেন, আমি আমার মেয়ের উপর হামলার কারিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি।
মামলার তদন্ত কারি কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার উপপরিদর্শক নব কুমার বিশ্বাস বলেন , আমরা ইতি মধ্যে একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছি অন্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রকৃয়া চলছে।