সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি এই শিল্পীর মরদেহ সেখানে রাখা হবে।
এরপর বাদ জুমা মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই ভবনে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ সরাসরি শিল্পীর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের নিয়ে যাওয়া হবে।
পারিবারিকভাবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছেলে ও মেয়ে দেশে ফেরার পর আগামীকাল শনিবার শিল্পীকে তার জন্মস্থান চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে। এর আগে চট্টগ্রামে তৃতীয় ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবরে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। সংবাদ শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী, দলছুট ব্যান্ডের বাপ্পা মজুমদার, নির্মাতা হানিফ সংকেত, অভিনেতা আফজাল হোসেন, সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, ফকির আলমগীর, রফিকুল আলম, তপন মাহমুদ, ফুয়াদ নাসের বাবু, পার্থ বড়ুয়া, অবসকিউরের সাইদ হাসান টিপু, হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, শিল্পী তপু, রুমি, কোনাল, মাহাদী, প্রিন্স মাহমুদ, ওয়ারফেইজের টিপু, কণা, এলিটা, অভিনেত্রী বন্যা মির্জাসহ অনেকে।
গিটারে আঙুলের স্পর্শে আর অসাধারণ গায়কিতে শুধু সংগীতানুরাগীদের মাতোয়ারা করেননি, রীতিমতো এ দেশের ব্যান্ডসংগীতকে একটি শিল্পে পরিণত করেছেন আইয়ুব বাচ্চু। গিটারের সুরের সঙ্গে কণ্ঠের কারুকার্যে এ দেশের অগণিত সংগীতানুরাগীদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছিলেন ব্যান্ডসংগীতের এই রাজকুমার।