গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সৎ ছেলের হাতে শিপ্রা রানী বাইন (৩৫) নামে এক স্কুল শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত শিপ্রা রানী বাইন কাশিয়ানী উপজেলার পিঙ্গুলীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার স্বামী ব্রজেন্দ্রনাথ বাইন জেলার মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
অভিযুক্ত ছেলে বাঁধন বাইন (১৪) কাশিয়ানীর বেলতলার আশার আলো উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের সৎ ছেলে ও স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহতের ভাই মিলন চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, বোন শিপ্রা রানী বাইন ও ছেলেমেয়ে নিয়ে কাশিয়ানী উপজেলা সদরের কাদিরপাড়ায় ঝন্টু মোল্যার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে বখাটে ছেলে বাঁধন বাইন (১৪) ঘরের ভিতরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় শিপ্রা রানী দাসকে ফেলে রেখে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে তিনি মারা যান।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে শিপ্রার স্বামী, শাশুড়ি ও ছেলে বাঁধন পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।