‘মি টু’ আন্দোলনে একটু একটু করে সরব হয়েছেন অনেকেই৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ঝড় উঠছে এই ‘মি টু’র৷ আর সেই ঝড়ে একটার পর একটা ঘটনা সামনে আসছে। তা সে ছবির জগতই হোক বা ক্রীড়া জগত অথবা রাজনৈতিক মহল, কেউ এই ঝড় থেকে রক্ষা পাচ্ছে না৷ কিন্তু এই ‘মি টু’র নেপথ্যে অর্থাৎ এই আন্দোলনের পথিকৃৎ কে ছিলেন জানেন?
২০০৬ সালে প্রথমবার ‘মি টু’ প্রকাশ্যে আসে৷ তারপর থেকেই এই অভিযান শুরু৷ যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট তারানা বুর্ক এই আন্দোলন প্রথম শুরু করেন৷ যৌন হেনস্তা এবং নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের কথা প্রকাশ্যে তুলে আনার জন্য তিনি প্রথম উৎসাহিত করতে শুরু করেন সকলকে৷ যে মেয়েরা কোন না কোন সময় এই যৌন হেনস্তার মুখে পড়েছেন তাদের এই ‘মি টু’-তে সাড়া দেওয়ার অনুপ্রেরণা দেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, ‘মি টু’ নামের একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মও তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে ১৩ বছরের এক নাবালিকা জানিয়েছিল, সে কিভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিল৷ তারানা বুর্কও এমন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন৷ তিনি জানান, ৬ বছর বয়সে তার ওপর যৌন অত্যাচার চলে৷ প্রতিবেশী একটি ছেলে তাকে ধর্ষণ করেছিল৷ এবং বেশ কয়েক বছর ধরে তার ওপর এই যৌন অত্যাচার হয়েছিল৷
২০১৭ সালে ‘মি টু’ ফের একবার উঠে আসে৷ হলিউডি তারকা এলিসা মিলানো ‘মি টু’র-কে সঙ্গী করে নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া এই হেনস্তায় সরব হয়েছিলেন৷ তিনি ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ট্যুইট করে লিখেছিলেন, যদি আপনিও যৌন অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাহলে বলুন এবং লিখুন ‘মি টু’ অর্থাৎ আমিও৷
এরপরেই হলিউড থেকে তা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ‘মি টু’৷ এবং চলতি বছরে ভারতে যেন এক প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই দেখা দিয়েছে এই ‘মি টু’.