দলবেঁধে কলকাতার দুর্গাপূজা দেখলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ইতালিসহ বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন (আইসিসিআর)-এর কলকাতা চ্যাপ্টারের উদ্যোগেই শনিবার দুপুরের দিকে বিদেশি কূটনীতিকরা পূজা পরিক্রমায় বের হয়।
ঘুরে দেখেন কলকাতার একাধিক পূজা মন্ডপ।
এরপর সন্ধ্যায় কালীঘাটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাসভবনে গিয়ে তার সাথে দেখা করেন বিদেশি কূটনীতিকদের প্রতিনিধি দলটি। ঘুরে দেখেন মমতার ঘরগুলিও। ওই দলে ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল প্যাটি হফম্যান, ফ্রান্সের কনসাল জেনারেল ভার্জিনি কর্টিভেল, চীনের কনসাল জেনারেল মা ঝানউ, জাপানের কনসাল জেনারেল ম্যাসাউগি টাগা, জার্মানির মাইকেল ফেইনার, ইতালির ড্যামিয়ানো ফ্রাঙ্কোগি সহ সেই দেশগুলির দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তা ও ১৫ জন বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী। এদের সাথেই উপস্থিত ছিলেন আইসিসিআর-এর আঞ্চলিক ডিরেক্টর গৌতম দে। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পুর ও নগরায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মমতার সাথে কথা বলেন তারা। দূতাবাসের প্রতিনিধিরা কলকাতায় পূজা দেখার অভিজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীও তাদের কাছে দুর্গাপূজার ইতিহাস ও ঐহিত্য তুলে ধরেন।
এবারে কোন কোন পূজা মন্ডপের উদ্বোধন করেন সেকথাও জানান মমতা। তার কাছ থেকে এই তথ্য জেনে প্রবল উৎসাহিত বোধ করেন বিদেশিরাও।
সৌজন্যমূলক এই আড্ডায় খাবারের তালিকাতেও ছিল বাঙালিয়ানা। সূত্রে খবর সন্ধ্যায় তাদের খাওয়ানো হয় চা ও গরম সিঙ্গাড়া। মুখ্যমন্ত্রীর এই আথিতেয়তায় মুগ্ধ বিদেশি কূটনীতিকরাও।
শেষে বিদেশি অথিতিদির ডোকরার দুর্গামূর্তিও উপহার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।