কর্ণফুলী নদীতে রিপেন সিংহ ধ্রুব (৩০) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। ধ্রুব চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ের ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন।
নগরীর কোতোয়ালী থানার আসকার দিঘীর পশ্চিম পাড়ে অফিসার্স লেইনে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন রিপেন সিংহ ধ্রুব। তার বাবার নাম ক্ষুধিরাম সিংহর।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে নগরীর পতেঙ্গার চরপাড়ায় কর্ণফুলী নদীর তীরে বেড়ীবাঁধের পাথরের ব্লকে আটকানো অবস্থায় ধ্রুবর মরদেহ পাওয়া যায়। বাসা থেকে বের হবার ১২ ঘণ্টা পর তার নিহত হওয়ার সংবাদ আসে বাবা-মায়ের কাছে।
নগরীর পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল কান্তি বড়ুয়া বলেন, ধ্রু নিজেই আত্মহত্যা করতে পারে অথবা তাকে কেউ খুন করে মরদেহ নদীতে ফেলে দিতে পারে। তবে তার নাকেমুখে রক্ত দেখা গেলেও শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আসল ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত জানা যাবে।
ধ্রুবের ক্ষুধিরাম সিংহ বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বাইরে নাস্তা করার কথা বলে রিপেন বাসা থেকে বের হয়। বাসায় ফিরতে সময় লাগবে বলেও সে জানিয়েছিল।
দুপুরের পরও বাসায় না আসায় আমরা মোবাইলে কল করি। কিন্তু মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। এরপর সন্ধ্যায় আমি কোতোয়ালী থানায় গিয়ে জিডি করি। রাত ১২টার দিকে কোতোয়ালী থানার ওসি আমাকে জানান, পতেঙ্গায় একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। সেটি যেন আমরা গিয়ে দেখি। আমরা পতেঙ্গা থানায় গিয়ে দেখি আমার ছেলের লাশ। মুহূর্তেই আমার সব যেন লন্ডভন্ড হয়ে গেল। ’
ক্ষুধিরাম সিংহ জানান, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর হাজারী লেইনের মিষ্টি ঘর গলির শুভ চৌধুরী নামে রিপেনের এক বন্ধু আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সবকিছু পরিষ্কার হবে বলে দাবি ক্ষুধিরামের।
এদিকে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, জিডি করার পর আমরা রিপেন সিংহের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছিলাম, এর মধ্যেই তার মরদেহ উদ্ধার হয় পতেঙ্গায়। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে অভিযানে নামব।