আটলান্টিক মহাসাগরে দীর্ঘ উপকূল আর ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিম দেশ পর্তুগাল। সেই সাথে ইউরোপের মধ্যে কর্ম জীবিকার তালিকায় উঠা আসা দেশও পর্তুগাল।
২০০৭ সালের পর অর্থনীতির মন্দা কাটিয়ে ওঠায় নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থানের সুযোগও দেশটিতে। তাইতো ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করে বিদেশি বিত্তবান আর ব্যাবসায়ীদের জন্য চালু করেছে গোল্ডেন রেসিডেন্ট ভিসা/পারমিট।
যেমনটি বিত্তবান অনেকের শখ থাকে নিজ দেশের বাহিরে আরেকটি বাড়ি থাকুক। এটি বর্তমানে সেকেন্ড হোম হিসেবে অধিক পরিচিত। বিত্তবান আর ব্যাবসায়ী অনেকেই এখন বিভিন্ন এশিয়া আর ইউরোপের অনেক দেশেই তাদের সেকেন্ড হোম করছেন। বর্তমানে এই তালিকায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তার মাঝে রয়েছে পর্তুগালও। আইসল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পরে বিশ্বের ৩ নম্বর নিরাপদ ও শান্তির দেশ হলো পর্তুগাল। তাই এখানে নিজের একটি প্রপার্টি এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধাসহ ইউরোপের বসবাসের জন্য দিন দিন জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে পর্তুগালের গোল্ডেন ভিসা।
২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া পর্তুগালের এই ভিসার জন্য ৫শ’ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকার মত যদি কোন ব্যক্তি এদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে এবং বছরে অন্তত ৭ দিন পর্তুগালে থাকতে পারে তবে সে এই ভিসার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
আটলান্টিক মহাসাগরে দীর্ঘ উপকূল আর ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিম দেশ পর্তুগাল। সেই সাথে ইউরোপের মধ্যে কর্ম জীবিকার তালিকায় উঠা আসা দেশও পর্তুগাল।
২০০৭ সালের পর অর্থনীতির মন্দা কাটিয়ে ওঠায় নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থানের সুযোগও দেশটিতে। তাইতো ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করে বিদেশি বিত্তবান আর ব্যাবসায়ীদের জন্য চালু করেছে গোল্ডেন রেসিডেন্ট ভিসা/পারমিট।
যেমনটি বিত্তবান অনেকের শখ থাকে নিজ দেশের বাহিরে আরেকটি বাড়ি থাকুক। এটি বর্তমানে সেকেন্ড হোম হিসেবে অধিক পরিচিত। বিত্তবান আর ব্যাবসায়ী অনেকেই এখন বিভিন্ন এশিয়া আর ইউরোপের অনেক দেশেই তাদের সেকেন্ড হোম করছেন। বর্তমানে এই তালিকায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তার মাঝে রয়েছে পর্তুগালও। আইসল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের পরে বিশ্বের ৩ নম্বর নিরাপদ ও শান্তির দেশ হলো পর্তুগাল। তাই এখানে নিজের একটি প্রপার্টি এবং সমস্ত সুযোগ সুবিধাসহ ইউরোপের বসবাসের জন্য দিন দিন জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে পর্তুগালের গোল্ডেন ভিসা।
২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া পর্তুগালের এই ভিসার জন্য ৫শ’ হাজার ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকার মত যদি কোন ব্যক্তি এদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করে এবং বছরে অন্তত ৭ দিন পর্তুগালে থাকতে পারে তবে সে এই ভিসার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ব্যক্তি নিজেসহ তার পরিবার অর্থাৎ পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তানসহ একত্রে সকলের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এই সমপরিমাপ টাকা বিনিয়োগ করে কমপক্ষে ১০ জন লোকের কর্মসংস্থান করতে পারলে পেয়ে যাবে গোল্ডেন ভিসা বা রেসিডেন্ট পারমিট।
শুরুতে এক বছরের এবং পরবর্তীতে নবায়নের সময় প্রতি বার ২ বছর করে রেসিডেন্ট পারমিট দিবে। এভাবে ৫ বছর থাকলে পর্তুগিজ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। শুরুতে যে ভিসা বা রেসিডেন্ট পারমিট পাবে তা দিয়ে ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ, বসবাস, পড়ালেখা করার সুযোগ পাওয়া যাবে। আর ৫ বছর পর পর্তুগিজ নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে ইউরোপিয়ন নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে এবং পর্তুগিজদের সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
জনপ্রিয় ও বিদেশী ব্যাবসায়ীদের পর্তুগালমুখি করতে বর্তমানে দেশটির সরকার কিছু শর্ত সাপেক্ষে এটিকে কমিয়ে ৩শ’ হাজার ইউরো করা করেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় তিন কোটি টাকা। এক্ষেত্রে অনগ্রসর শিল্প এবং এগ্রিকালচার সেক্টরসহ বেশকিছু নিদির্ষ্ট খাতে বিনিয়োগ করা যাবে। আবাসনের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের পুরনো রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। পর্তুগাল সরকারের তথ্য মতে, চালু হওয়া গোল্ডেন রেসিডেন্ট ভিসা/পারমিট ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার জন বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করে প্রায় ১০ হাজার পরিবারবর্গের জন্য রেসিডেন্ট পারমিট নিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে চীন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, লেবানন, বাংলাদেশসহ অনেক দেশ।
আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে পর্তুগিজ উপনিবেশ থাকায় এবং পর্তুগিজ ভাষা বিশ্বের বেশি প্রচলিত ভাষার একটি হওয়াই বর্তমান সময়ে এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এশিয়া, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে।
কারণ ইউরোপের ক্রমবর্ধমান পর্যটকের আনাগোনায় বিনিয়োগের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে। ২০০৬ সালে যখন বছরে ৬ মিলিয়ন পর্যটক আসতো এখন সেটি বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে বার্ষিক ১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পর্তুগালের রিয়েল এস্টেট, পর্যটন খাতে মানুষ বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উল্লেখ্য, গ্রিস, স্পেন ও মাল্টাতেও প্রায় একই ধরনের বিনিয়োগ পদ্ধতি চালু রয়েছে, তবে তুলনামূলক ভাবে পর্তুগালের স্কিমটি সহজ ও জনপ্রিয়।
ইউরোপের অন্য অনেক দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় পর্তুগালে ধর্ম বা বর্ণ বিভেদ নাই বললেই চলে। অসম্প্রদায়িক এই দেশ যেখানে সবাই সবার মত করে যার যার রীতি-নীতি পালন করছে। পর্তুগিজরা সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের প্রতি আন্তরিক। উষ্ণ, শুষ্ক এবং শীতল আবহাওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিবেশে বসবাসের জন্য ইউরোপের মাঝে এর চেয়ে ভাল জায়গা আর কি হতে পারে!