বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই অগণতান্ত্রিক শক্তি তাদের মুখোশ খুলে ফেলে দেশের মানুষের সার্বজনীন গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো একের পর এক অমানবিক কায়দায় দমন করে। আর এই কারণেই সীমাহীন রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দিনে দিনে দুর্বল করা হচ্ছে এবং রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে।”
১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা বলেন, “১৪ ডিসেম্বর একটি বেদনাময় দিন। বাংলাদেশকে মেধা-মননে পঙ্গু করার হীন উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত বিজয়ের ঊষালগ্নে এ দিনে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করোছিলো। তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়বে এবং উন্নয়ন অগ্রগতি রুদ্ধ করে দেয়া যাবে। কিন্তু তাদের সে লক্ষ্য ব্যর্থ হয়েছে।”
খালেদা জিয়া বলেন, “অমর বুদ্ধিজীবীরা দেশের বরেণ্য শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা একটি সমৃদ্ধ এবং মাথা উঁচু করা জাতি দেখতে চেয়েছিলেন। তারা ন্যায় বিচারভিত্তিক শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক সমাজের প্রত্যাশা করেছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা আন্তর্জাতিক অপশক্তি তাদের সে প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত হতে দেয়নি।”
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “বিভেদ অনৈক্য এবং সংকীর্ণতার দ্বারা জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে। সুতরাং আমাদের রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং দেশকে একটি সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে। এ ক্ষেত্রে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা আমাদের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে যাবেন।”
তিনি বলেন, “আজকের এ শোকাবহ দিনে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই-আসুন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করি। আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”