‘পেছন থেকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরল রানাতুঙ্গা’

Slider খেলা

মিটু ঝড়ে টালমাটাল গোটা ভারত। উঠে আসছে বিচিত্র সব উপাখ্যান।

লোকলজ্জা ছেড়ে নারী হয়ে উঠছে প্রতিবাদী, বিপ্লবী। বিয়ের কয়েকদিন আগেও বান্ধবীর হবু বর কীভাবে তার শ্লীলতাহানি করছে তাও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন এক নারী। আর গোটা পর্বে একটা বিষয় স্পষ্ট, #মিটু শুধু সেলেব-হেভিওয়েটে সীমাবদ্ধ নয়। ছড়িয়ে রয়েছে সমাজের সর্বত্র। কর্মক্ষেত্র থেকে যাত্রাপথ, জন্মদিন থেকে পার্টি কিংবা হোটেলে।
পাশ্চাত্যের # মিটু আন্দোলন এ দেশে আগেও হয়েছে। কিন্তু নানা পটেকরের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্তর মুখ খোলার আগে পর্যন্ত এমন গতি পায়নি। কাঠগড়ায় উঠেছেন অনেকেই। বুধবার সর্বশেষ সংযোজন হলেন অর্জুন রানাতুঙ্গা।

বোধিসত্ত্বা ইয়ামাইওহো নামে এক বিমানসেবিকা তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন।
তিনি বলেন, একদিন বান্ধবী বন্দনা মুম্বাইয়ের জুহু সেন্টিউর হোটেলে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের দেখতে যায়। অটোগ্রাফের জন্য ক্রিকেটারদের রুমে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি। ওর নিরাপত্তার কথা ভেবে আমিও সঙ্গে যাব ঠিক করি। সেই অনুযায়ী ক্রিকেটারদের ঘরে যাই। তারা আমাদের ড্রিঙ্ক অফার করেন। ওরা ছিলেন সাতজন, আমরা দু’জন। আমি রাজি হইনি। ওরা দরজা বন্ধ করে ছিটকিনি দিয়ে দেয়। আমার অস্বস্তি বাড়তে থাকে। পরে বান্ধবীকে বলি, চল রুমে ফিরে যাই। কিন্তু বন্দনা নাছোড়বান্দা।

হোটেলের সুইমিং পুলের দিকে হাঁটতে যাবে বলে জানায়। তখন সন্ধ্যা ৭টা মতো হবে। সুইমিং পুল হোটেলের পেছন দিকে। গলিপথে খুব কম আলো ছিল। আমি সুইমিং পুলের ধারে গিয়ে বন্দনা এবং ভারতীয় ক্রিকেটারদের খুঁজছিলাম। কিন্তু কাউকে দেখতে পাইনি। তার মধ্যেই হঠাৎ রানাতুঙ্গা পেছন থেকে আমার কোমর জড়িয়ে ধরেন। এসময় আমি চিৎকার করি। রানাতুঙ্গার পায়ের পাতায় জোরে লাথি মারি।

পুলিশকে জানাব, পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে দেব ইত্যাদি ভয় দেখাতে থাকি। তারপর ছুটে হোটেলের রিসেপশনে যাই। কিন্তু রিসেপশন থেকে জানানো হয়, ওটা আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়, হোটেল হস্তক্ষেপ করবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *