কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: বাণিজ্যমন্ত্রী মো. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুব প্রিয় মানুষ ও বিশ্বাসী ছিলেন শহীদ ময়েজউদ্দিন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি শাহাদাৎ বরণ করেছেন কালীগঞ্জের মাটিতে। ময়েজউদ্দিন আমাদের অর্থ ও বুদ্ধি দিয়ে সবসময় সহযোগিতা করতেন। মন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে ময়েজউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে ফুল দিয়ে বলেছিলেন ময়েজউদ্দিন ভাই আপনি শুয়ে আছেন আপনার জন্মস্থান কালীগঞ্জে আজ অনেক উন্নতি হয়েছে। আর আমি এখনো জীবিত রয়েছি। স্বৈরাচারী আন্দোলনের সময় তিনি নিজ এলাকায় এসে আর আমাদের মাঝে ফিরে যেতে পারেনি, সন্ত্রাসীদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে উদ্যোগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী জাতীয় বীর শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী মো. তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বিশে^র দরবারে প্রশংসা পেয়েছেন। সমুদ্রের গভীরতা মাপতে পারবেন কিন্তু বঙ্গবন্ধরু দেশ ও মানুষের প্রতি যেই ভালোবাসার গভীরতা ছিল তা মাপা সম্ভব ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কাকে কোথায় রাখতে হবে এবং কোথায় দিতে হবে এটা জানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাজীপুরের কালীগঞ্জ আসনের মনোনয়ন প্রধানমন্ত্রী দিবেন এখানে কারোর হাত নেই। শেখ রাসেলকে হত্যা করেছিল যাতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ নেতৃত্ব দিতে না পারেন।
বিএনপি জোটবদ্ধ ভাবে নির্বাচন করবেন। বিএনপি যত কথা বলুক নির্বাচন যথা সময়ে হবে। কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে ১ লক্ষ মানুষ হত্যা করবে। নৌকা প্রতীকে সব যোগ্য লোককে মনোনয়ন দেয়া হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারি না করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার জন্য কাজ করলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত। বিবাদ দ্বন্দ্ব ভুলে কাজ করতে হবে। আপনারা যাকে বেশি ভালোবাসেন ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করলে তারই ক্ষতি হবে। আপনাদের অনুরোধ করবো- আপনারা ঐক্যবন্ধ থাকবেন। ঐক্যবন্ধ থাকলে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপির সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় তাতী লীগের সাধারন সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, প্রমুখ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল গণি ভূইয়ার পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরফী মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ ও মো. শরিফুল ইসলাম তোরন, গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কাদের নান্নু ও আবু বকর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী বশির আহমেদ, জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান খান ফারুক মাষ্টার প্রমুখ।