রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, এককভাবে কোনো দলের পক্ষে আমি ভোট চাইতে পারি না। তবে যারা দেশের কল্যাণ করবে, উন্নয়ন করবে এমন দলকেই আপনারা বেছে নেবেন।
যারা টিআর, কাবিখা লুট করে খায়, ঠিকাদারের কাছ থেকে পার্সেন্টেজ নিয়ে কাজ খারাপ করে, মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে, তাদের ভোট দেবেন না।
রাষ্ট্রপতি সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে তাকে দেওয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছে ঋণী। কারণ, আমি কিশোরগঞ্জের মানুষের কাছেই রাজনীতি শিখেছি। তারাই আমার রাজনীতির বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার রিকশা শ্রমিক, বিড়ি শ্রমিক, মুচি, হোটেল শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে রাজনীতি করেছি। আন্দোলন সংগ্রামে তারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
আজ রাষ্ট্রপতি হওয়ার সব কৃতিত্বই কিশোরগঞ্জবাসীর উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের দোয়াতেই আমি দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি হতে পেরেছি। আমি কিশোরগঞ্জকে কোনো সময়ই ভুলে থাকতে পারিনি।
দেশ-বিদেশে যেখানেই গিয়েছি, ‘শান্তিপুরি’ ভাষায় বক্তব্য দেইনি। বরং কিশোরগঞ্জের ভাষায় বক্তব্য দিয়েছি। কিশোরগঞ্জকে তুলে ধরেছি। কিশোরগঞ্জে শিগগিরই একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এটি স্থাপনের সম্ভাব্য জায়গা আমি ঘুরে দেখে যাবো।
সংবর্ধনা নাগরিক কমিটির সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন-কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন, সংসদ সদস্য দিলারা বেগম আসমা, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. কামরুল আহসান শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, যুগ্ম সাধারণ সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও রাষ্ট্রপতির মেঝো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন প্রমুখ।