পদ্মার পানি ধাপে ধাপে কমলেও ভাঙন থামেনি। প্রতিদিনই বাড়ি ঘর সরাতে ব্যস্ত থাকছেন ভাঙনকবলিতরা।
অনেকেই দুই তিনবার ভাঙনের শিকার হয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে ছোটাছুটি করছে। মিলছেনা ভাড়া বাড়ি, যেটুকু মিলছে তাও ভাড়ার পরিমাণ বেশি। মানবেতর জীবন কাটছে তাদের। কিস্তির টাকার চাপে রয়েছে আনেক পরিবার। বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারবে কিনা এনিয়ে সংশয় ভাঙন কবলিতরা। সরকারের কাছে জরুরি বাধ ও ঋণ মুক্ত করে দেওয়ার দাবি তাদের।
বেরিবাধ, আশ্রয়ের সন্ধান ও পুনর্বাসনের দাবি ভাঙনকবলিতদের। ভাঙনের তীব্রতা কম থাকলেও ভাঙন থামেনি। গত তিন মাসে ভাঙনের শিকার হয়ে গৃহহীন হয়েপড়েছে ৬ হাজার পরিবার।
সরকারি বে-সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা করলেও তাদের তেমন কোন লাভ হচ্ছে না বলে দাবি ভাঙনকবলিতদের। তাদের দরকার ভিটে মাটি আর নগদ টাকা।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোড বলছে নভেম্বর মাসের মধ্যে পদ্মা নদীতে বেরি বাধ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু স্থানীয়দের সংশয়- এ সময়ের মধ্যে বাধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে না।
পূর্ব কেদারপুর গ্রামের নাসিমা বেগম (৫৫)বলেন, স্বামী আবু কালাম মল্লিক আর ছেলে মেয়ে নিয়ে আমাদের সুখের সংসার ছিল। পদ্মায় দুবারের ভাঙনে যায়গা জমি সব কেরে নিল, এখন আমরা পথে বসেছি। ঘরতোলার জায়গা নেই। টাকা পয়সাও নাই কোথায় যামু কি করমু। এক বেলা খাইলে আরেক বেলা খাইতে পারি না। অর্ধহারে অনাহরে দিন কাটাতে হয়। কিস্তিতে টাকা নিয়ে একটি ঘর তুলেছি এখন সেই ঘর সরাতে হচ্ছে। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না করতেই অবার ভাঙতে হচ্ছে। না খেয়ে থাকলেও কিস্তির টাকা দিতে হয়।
নড়িয়ায় ভাঙগনে গত তিন মাসে সড়ে ৬ হাজার একর জমি, ৩ শতাধিক পাকা ভবন, ২১ লক্ষ গাছপালা, ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪ টি বাজার, ৯ জন নিখোঁজ, আহত ২২ জন, ৬ হাজারের উপর মানুষ গৃহহীন হয়েছে- এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নড়িয়া হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. মনিরুজ্জামান খান বলেন, হাসপাতালের আবাসিক ভবনে চিকিৎসা সেবা নিয়মিত দিয়ে আসছি, রাস্তাঘাট ঠিক হলে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ওহেদুজ চৌধরি বলেন, এখন ভাঙন কম, জিউ ব্যাগ ফেলানোর কাজ অব্যহত রয়েছে। হাসপাতাল রক্ষা করতে পেরেছি।