বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে লিঁয়াজো কমিটি গঠন

Slider রাজনীতি


ঢাকা:বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে এবার গঠন করা হয়েছে ছয় সদস্যের একটি লিঁয়াজো কমিটি। বিএনপি ও যুক্তফ্রন্টের মধ্যে সংযোগ সেতু হিসেবে কাজ করবে এই কমিটি। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন দেশে ফেরার পর বাড়বে এ কমিটির পরিসর। তার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার তিন নেতাকে এ কমিটিতে সংযুক্ত করা হবে। এ লিঁয়াজো কমিটি কর্মসূচি প্রনয়নসহ অন্যান্য বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা একটি বৈঠকের মাধ্যমে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ লিঁয়াজো কমিটি গঠন করবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে সেটি হতে পারে আগামী সোমবার। তবে প্রাথমিকভাবে বিএনপি ও যুক্তফ্রন্টের ৬ নেতার সমন্বয়ে একটি লিঁয়াজো কমিটির অনানুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। কমিটিতে বিএনপির পক্ষে আছেন- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। যুক্তফ্রন্টের পক্ষে আছেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেন দেশে ফেরার পর তার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার তিন নেতা গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদকে এ কমিটিতে যুক্ত করা হবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া সূত্র জানায়, ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ৬ই অক্টোবর শনিবার ড. কামাল হোসেনের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি ফেরার পর আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এ ব্যাপারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া মিলে ভোটের অধিকার আদায়ে একসঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন এবং সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে এগিয়ে নিতে কিদুদিন ধরেই তাগিদ দেয়া হচ্ছিল একটি লিঁয়াজো কমিটি গঠনের। সে প্রক্রিয়া ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। ড. কামাল হোসেন দেশে ফেরার পর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের সমন্বয়ে এটি পূর্ণতা পাবে। এই কমিটি আন্দোলন, কর্মসূচি এবং নির্বাচনের বিষয়ে একটি অভিন্ন লক্ষ্য নির্ধারণ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *