আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ই (বিএসএমএমইউ) বেগম খালেদার জিয়ার জন্য চিকিৎসার উপযুক্ত জায়গা। যা আমরা আগেই বলেছিলাম।
প্রমাণ মিলেছে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করেনি। বিএনপি নিজেরাই রাজনীতি করছে।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস স্টেশন এলাকায় আওয়ামী লীগের গণসংযোগে এসব কথা বলেন তিনি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অাজ শুক্রবার। অাযান ও নামাজের সময় সমাবেশ করলে মানুষ বিরক্ত হয়। ভোট বাড়াতে গিয়ে ভোট কমে যাবে। নামাজ ও অাযানের সময় খেয়াল করবেন। রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করবেন না। প্রচারপত্র বিলি করতে গিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়াবাড়িতে ফুটপাতে ছোট-খাটো দোকান নষ্ট হলে প্রচারণার যে লাভ হবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে।
শেখ হাসিনার অামলে যে উন্নয়ন হয়েছে তা মানুষ ১০০ বছরও দেখেনি।
অাগত নেতাকর্মীরা স্লোগান তুলেন ‘শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার। ’ তখন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অামি বার বার চাই না। অারেক বার চাই। উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
বিএনপি ক্ষমতায় অাসলে দুর্নীতি করে হাওয়া ভবন বানাবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের অারও বলেন, প্রচারপত্র বিলি করতে গিয়ে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। জনগণকে খুশি রাখতে হবে। মানুষ কষ্ট না পায় সেই দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রার্থী হতে চাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রার্থী হতে গিয়ে ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মশারির মধ্যে মশারি লাগাবেন না। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তিনি বাকি প্রার্থীদের শত্রু ভাববেন না। যারা মনোনয়ন চাইবে তাদের মনোনয়নের মার্কা হবে ‘নৌকা’।
তিনি অারও বলেন, চা দোকানে বসে নিজ দলের লোককে নিয়ে সমালোচনা করার বদ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
বিদ্রোহ প্রার্থীদের হুশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবার বিদ্রোহ করলে খবর অাছে। বিদ্রোহ করলে সঙ্গে সঙ্গে বহিস্কার। কাজেই অপকর্ম করবেন না। কারো ব্যাপারে গিবত করবেন না। অাওয়ামী লীগ যদি অাওয়ামী লীগের শত্রু হয় বাহিরের শত্রু প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেন, কোটা অান্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই অান্দোলনের উপর ভর করে নিরাপদে ক্ষমতা যেতে চেয়েছিল বিএনপি। বিদেশিদের কাছে গিয়ে নালিশসহ কান্নাকাটি করে কোনো লাভ হয়নি।
কাদের বলেন, ফখরুল সাহেবের নালিশ কাম হলো না। কেন জাতিসংঘের মহাসচিবের নামে ভুয়া চিঠির কথা বলে বাংলাদেশের জনগণের সাথে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করলেন তার জবাব চাই। যারা মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেন তাদের কাছে বাংলাদেশ কি নিরাপদ? শেখ হাসিনার এতো উন্নয়নের মধ্যে অন্ধকারের পথ খুঁজছে বিএনপি।
বিএনপি ক্ষমতায় অাসলে ২০০১ সালের মতো রক্তপাত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইসি যদি গণপ্রতিনিধি অধ্যাদেশ প্রক্রিয়া করে সংসদে পাঠায় তা সংশোধন করবে সংসদ। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সীমিত অাকারে ইভিএম ব্যবহার অাওয়ামী লীগ চায়।
ঢাকা মহানগর উত্তর অাওয়ামী লীগের সভাপতি অাসলামুল হকের সভাপতিত্বে গণসংযোগে বক্তব্য আরও রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অা ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।