বিদেশে অবস্থানরত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা ফারমার্স ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে লেনদেনের ঘটনায় অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার বিকালে সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির নাম বলতে রাজি হননি দুদক প্রধান। তবে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কারও নাম না বললেও অনেকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে চার কোটি টাকা ঋণের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ হয়েছে। অনেকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা চিহ্নিত করা হয়েছে। ঋণ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সেখানে অনেকেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করছি।
এ জালিয়াতিতে সাবেক প্রধান বিচারপতির জড়িত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকুক আর যেই থাকুক, যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা যাবে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেবো।
দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণপ্রক্রিয়া এবং এই টাকা মানি লন্ডারিং বা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া, নগদ উত্তোলন, সব বিষয়ে অনেক কিছু সামনে এসেছে।
দুদকের পরবর্তী পদপে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হয়, তাই হবে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।