মিয়ানমার নেতা অং সান সুচিই প্রথম ব্যক্তি যাকে দেয়া সম্মানজনক নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে কানাডা। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বর্বর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানাতে সুচি ব্যর্থ হওয়ায় মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কানাডার সিনেটে ভোটাভুটির পর শান্তিতে নোবেল জয়ী সুচির নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে কানাডার সংসদের নিম্নকক্ষেও সুচির নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়।
অং সান সুচিকে ২০০৭ সালে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় কানাডার হাউজ অব কমন্স। নেলসন মেন্ডেলা, দালালাইলামা ও মালালা ইউসুফজাইসহ আরও পাঁচজন কানাডার এ নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর বর্বর অত্যাচার বন্ধের আহ্বান না জানানোয় সুচির আন্তর্জাতিক খ্যাতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। কানাডার আইনপ্রণেতারা গত সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া এক প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর ওই নির্যাতনকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদেশীদের মতো আচরণ করা হয়। দেশটির ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীই বৌদ্ধ। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের কারণে গত বছর থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পাশ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে- যেখানে তারা শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে।