রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে ভারতের দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গত সোমবার নিজের প্রথম ভারত সফরে আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
‘গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ, গ্লোবাল সলিউশন’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিয়ে মঙ্গলবার এসব কথা তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকটি ব্যক্তির কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। এছাড়া বাংলাদেশকে মানবিকতার খাতিরে ভারতের সহায়তা দেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
এছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে এই সমস্যার সমাধানের জন্য নিজেদের প্রভাবকেও কাজে লাগাতে পারে ভারত। তার কথায়, এই ধরনের ‘বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি’র মধ্যে বিশাল সংখ্যক মানুষের জনসংখ্যাকে ধরে রাখা মানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া আর ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মতো একঘরে হয়ে পড়া সম্প্রদায় আমি কখনও দেখিনি। রোহিঙ্গাদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের হাল অত্যন্ত খারাপ। তাদের কোনও সুযোগই নেই। এছাড়া, মিয়ানমারের সমাজে তাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ বর্ণবৈষম্যমূলক মনোভাব কাজ করে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের রিফিউজি করে রাখাটা আমার কর্তব্য নয়। আমার কর্তব্য রিফিউজি হিসেবে তারা যে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তার সমাধান করা। এর থেকে বোঝা যায় রোহিঙ্গা সম্বন্ধে সকলের কী পরিমাণ নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়াতে কয়েকজন সন্ন্যাসীর উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলে সামগ্রিকভাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাবের বৃদ্ধি হয়েছে। বাংলাদেশে দশ লাখের বেশি মানুষ রয়েছে। তাদের মিয়ানমারে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। ভয়ঙ্করভাবে ধর্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন মহাসচিব।
জাতিসংঘের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জানায়, এই মুহূর্তে বিশ্বের যা পরিস্থিতি তাতে ভারতের অবস্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এমনকি অধুনিক পৃথিবীতে চলা একাধিক দ্বন্দ্বের সমাধানের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক স্তরে অত্যন্ত জরুরি অবস্থান নিতে পারে।
গত বছর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।