ইলিশ সংরক্ষণে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৫০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশ ধরলে জাল বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি বাতিল হতে পারে ট্রলারের রেজিস্ট্রেশনও।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এমন জাটকা ইলিশ বাঁচাতে এমন কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মৎস দপ্তর।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবর, নতুন আইন চালু করার আগে চলতি আইনও কিছুটা সংশোধন করে নেওয়া হবে। এর আইনগত বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে একাধিক দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা হবে। পূজার আগে স্টেট লেভেল মনিটরিং কমিটির সঙ্গে জরুরি আলোচনার কথাও জানিয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। মন্ত্রী বলেছেন, “জাটকা ইলিশ বাঁচাতে লাগাতার প্রচারের সঙ্গে কড়া আইনি ব্যবস্থাও দরকার। তাই পূজার আগেই ইলিশ গবেষক, মৎস্যজীবী সংগঠনও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। ”
মন্ত্রীর কথায়, “জাটকা ইলিশ বাঁচাতে রাজ্যের চলতি আইন যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল। তাই সবদিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে আইনের কিছুটা হলেও সংশোধন প্রয়োজন। ”
একই বক্তব্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদেরও।
ইলিশ গবেষক তথা মৎস্য দপ্তরের সহ অধিকর্তা ড. সপ্তর্ষি বিশ্বাস বলেছেন, “৫০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশ ধরা ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বাংলাদেশে। প্রজননের সময় ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হয়। রাজ্যে এই নিয়ম থাকলেও আইনের ফাঁক গলে হামেশাই জাটকা ইলিশ ধরা ও বিক্রি হয়। তাই কড়া ব্যবস্থা হিসেবে জাল বাজেয়াপ্ত করে নষ্ট করা হতে পারে। ’’
দপ্তর সূত্রে খবর, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ১৯৯৮ সালে আইন তৈরি হয় রাজ্যের। ২০০৮ সালে সেই আইনের কিছুটা সংশোধন হয়। এবার সেই আইনের কিছুটা রদবদল করে ইলিশ প্রজনন ও জাটকা ইলিশ বাঁচাতে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য। ৯০ মিলিমিটারের কম ফাঁসযুক্ত জালেই ৫০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশ ধরা হয়। তাই এই জালের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগী মৎস্য দপ্তর। এমন জাল তৈরি হয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও চেন্নাইতে। এই জাল রাজ্যে আসাও বন্ধ করতে চলেছে মৎস্য দপ্তর।