মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, আমি কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করার পক্ষে নই। কিন্তু পুরো দুনিয়া কি নীরব দর্শক হয়ে বসে বসে একটি হত্যাযজ্ঞ দেখবে এবং কিছুই করবে না?
শুক্রবার জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণে আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাথির এসব কথা বলেন।
মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, দেশগুলো স্বাধীন। কিন্তু তার মানে কি এই যে, নিজ দেশের জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর অধিকার তাদের রয়েছে!
মাহাথির মোহাম্মদ আরও বলেন, মিয়ানমার সরকারের কর্মকাণ্ডে দেশটিতে প্রাণহানি, বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়া এবং নিজ দেশের মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এসব অস্বীকার করছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যা করা হচ্ছে। তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। ১০ লাখ শরণার্থী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। গভীর সমুদ্রে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। বেঁচে থাকা লোকজনের খাবার, পানি ও স্যানিটেশনের সুবিধাবিহীন অস্থায়ী শিবিরে কোনো রকম ঠাঁই হয়েছে। তারপরও সু চিসহ মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এসব অস্বীকার করছে।
১৫ বছর পর জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে মাহাথির রোহিঙ্গা ইস্যু, ফিলিস্তিন পরিস্থিতি, বিশ্বায়ন, বাণিজ্য যুদ্ধ, মালয়েশিয়ার অগ্রগতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় জাতিসংঘের মহৎ লক্ষ্যগুলো অর্জনে তার দেশের পূর্ণ সমর্থন ও সহায়তা থাকবে বলেও অঙ্গীকার করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।