আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা দখল-পাল্টা দখলে নেই। জনগণের সাড়া না পেয়ে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে যারা ঢাকা দখলের হুমকি দিচ্ছেন, জনগণকে সঙ্গে আমরা তাদের অচল করে দেব।
আজ দুপুরে মতিঝিলের বাফুফে মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের দোয়া মাহফিল, রক্তদান ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আন্দোলনের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন, তাদেরকে বলবো আপনারা আন্দোলন করে ঢাকা অচল করে দেবেন, আর আমরা ঘরে বসে বসে ডুগডুগি বাজাবো? এটা হবে না। যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত হয়ে যান, যারাই আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য, সন্ত্রাস করার চেষ্টা করবে জনগণকে সাথে নিয়ে তাদেরকে অচল করে দেব। যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে, দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি জনগণের সাড়া পায়নি। তাই নাশকতা-সহিংসতার পথে যাচ্ছে। ঢাকা দখল, দেশ দখলের হুমকি দিচ্ছে। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা দখল পাল্টা দখলে নেই।
কিন্তু সহিংসতা করলে ছাড় দেব না। আমরা পাড়া, মহল্লায় ঘরে ঘরে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করবো। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষবাষ্পকে ধুলিষাৎ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ের বন্দরে নিয়ে যাবো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির এখন টার্গেট আওয়ামী লীগ নয়। এখন তাদের টার্গেট বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা দেশের জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে দুবাই, লন্ডন, ব্যাংক বৈঠক করছে, ষড়যন্ত্র করছে। তাদের হুশিয়ার করে দিতে চাই, তারা যেন ভুলে না যায়, যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আর আজকের ২০১৮ সাল এক নয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আর ২০১৮ সাল এক নয়। বাংলার ১৬ কোটি মানুষ শেখ হাসিনাকে ভালবাসে। ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার কিছু হলে সারাদেশে ঘরে ঘরে আগুন জ্বলবে। সেই আগুনে ষড়যন্ত্রকারীরা পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাবে।
আগামী বছর থেকে শেখ হাসিনার জন্মদিনকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিনকে জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস হিসেবে পালনের দাবি করে আসছে যুবলীগ। আমি দলের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছি, আগামী বছর থেকে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনকে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরণ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ।
আলোচনা সভা শেষে রক্তদান ও দোয়া মাহফিল করা হয়।