দিনাজপুরে আগাম আলু চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনুকুল আবহাওয়া ও অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় এবার এ অঞ্চলে আগাম আলু’র বাম্পার ফলন হয়েছে।দাম ভালো পাওয়ায় আগাম আলু চাষ করে ঘুরেছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা।
দিনাজপুরের বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে এখন আগাম আলু’র সমারোহ। আগাম আলু পরিচর্যা ও উত্তোলনে ব্যস্ত কৃষক। এ আগাম আলু চাষের ফলে কৃষকের পাশাপাশি শ্রমিকদেরও সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের।
বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের আলু আবাদ করেছেন কৃষক। এ জাতের আলু চাষ করে তারা প্রতি বিঘা জমি থেকে লাভ করছেন ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা বলে জানালেন দিনাজপুর দক্ষিণ কোতয়ালীর উলিপুর এলাকার কৃষক মফিজুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত বছর আলু’র চাষ করে চরম লোকসান গুনতে হয়েছে তাকে। এবার আলু আবাদ করে কিছুটা হলেও সেই লোকসান পুসিয়ে নিতে পেরেছেন তিনি।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল হান্নান জানান, জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার ৪০ হাজার এক’শ ১৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক জমিতে। অর্থাৎ ২০ হাজার হেক্টরেরও বেশী জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে।
এর মধ্যে সদর ও বীরগঞ্জ উপজেলাতে হয়েছে সব চেয়ে বেশী। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক ক্ষেতেই বিক্রি করছেন আলু।এছাড়াও আগাম জাতের আলু বেচা-কেনাকে কেন্দ্র করে জেলায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি আলুর মৌসুমি হাট। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে এসব আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব আলু চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এদিকে লাভ জনক ফসল হওয়ায় আগাম আলু চাষে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।আগাম জাতের আলু’র এ অঞ্চলে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জাতের আলু চাষে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকলে এবং আগাম আলু’র ন্যায্য মূল্য পেলে আগামীতে এ অঞ্চলে আগাম জাতের আলু চাষাবাদের পরিধি আরো বেড়ে যাবে, এমটাই মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদরা।