স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় এশিয়া-ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টারী পার্টনারশীপ (আসেপ) একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট। সার্বজনীন প্যারিস চুক্তির সর্বোত্তম বাস্তবায়নে আসেপ কার্যকর অবদান রাখতে পারে।
একইসঙ্গে সংসদীয় কূটনীতি বিস্তারের মাধ্যমে এশিয়া ও ইউরোপের সংসদ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা স্থিতিশীল রেখে গ্রিন ইকোনমি প্রতিষ্ঠায় জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি নিরসন ও এসডিজি অর্জন সম্ভব হবে। যা খাদ্য নিরাপত্তা, বাণিজ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করত সকল প্রকার বৈষম্য ও অসমতা নিরসন করবে।
আজ দশম এশিয়া-ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টারি পার্টনারশীপ মিটিং (আসেপ-১০)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, ব্রাসেলসে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে চলমান “ক্লাইমেট চেঞ্জ : চ্যালেঞ্জ ফর মাল্টিল্যাটারালিজম” শীর্ষক প্ল্যানারি সেশনে আরো বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টেের প্রেসিডেন্ট মি. অ্যান্তেনিও তাজানি, স্পেন পার্লামেন্টের ডেপুটি কংগ্রেস মিজ আনা মারিয়া পান্তোর জুলিয়ান, মঙ্গোলিয়ার পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ইয়োনডন পেরিলি বাটার বিলেগ, গণচীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মি. ঝ্যাং ঝিজু।
স্পিকার আরো বলেন, জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনসাধারণের জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে কাজ করাই সংসদ সদস্যদের মূল দায়িত্ব। আর এ ক্ষেত্রে আসেপ এশিয়া ও ইউরোপীয় সংসদ সদস্যদেরকে একত্রিতভাবে একই কন্ঠে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। পরে তিনি ইউরোপীয়ান পার্লামেন্ট আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিং এ জলবায়ুর পরিবর্তন ও এর ঝুঁকি মোকাবেলার কৌশল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।