এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৩০তম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের রান মেশিন খ্যাত এ ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করার পথে বল খেলেছেন ৬৮টি।
যেখানে ৫টি দৃষ্টিনন্দন চারের মার ছিল।
এদিকে মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন নবাগত মোহাম্মদ মিথুন। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে আপাতত শুরুর ধাক্কাটা সামলেছে বাংলাদেশ। তবে পথ এখনো বহুদূর।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুজনের ব্যাট থেকে এসেছে ১০৩ রান। মুশফিক ৫৬ ও মিথুন ৪৪ রান করেছেন
এর আগে ওপেনিং জুটিতে ভাল সূচনা করতে পারেননি লিটন-সৌম্যরা। গোল্ডেন ডাক মারলেন সৌম্য সরকার। দীর্ঘ দিন পরে দলে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি সৌম্য সরকার। শূন্যরানে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।
আর তার দেখানো পথেই হাঁটলেন এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বার দলে সুযোগ পাওয়া মুমিনুল হক। শাহিন শাহ আফ্রিদির আগের বলেই চার মেরেছিলেন। কিন্তু পরের বলেই তার প্যাড ছুয়ে স্ট্যাম্পে বল লাগে। ফলে ৪ বলে মাত্র ৫ রান করেই তাকেও ফিরতে হয়েছে। আর এমন শুরুর পর এমনিতেই চাপে পড়ে দল। এরই মাঝে আবার বোল্ড হয়ে গেলেন লিটন দাসও। চলতি এশিয়াকাপে লিটন দাস সবক’টি ম্যাচেই ওপেন করেছেন। কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষের ৪১ রানের ইনিংসটিই তার ক্যারিয়ার সেরা। এছাড়া বাকি ৪ ম্যাচের একটিতেও দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। ফলে ৪.২ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেখান থেকেই দলকে টেলে তুলছেন মিথুন-মুশফিক।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এদিকে আজকের ম্যাচে খেলছেন না বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা পান মুমিনুল হক। আঙ্গুলের ফ্রেকচারের কারণে তার খেলা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। অপরদিকে দীর্ঘ দিন পর দলে ফিরেন সৌম্য সরকার, বাদ পড়েন নাজমুল শান্ত। আর স্পিনার নাজমুল অপুর পরিবর্তে পেসার হিসেবে খেলবেন রুবেল হোসেন। কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সৌম্য ও মুমিনুল।
বাংলাদেশ একাদশ:
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিথুন, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, মাহমুদুল্লাহ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ:
ফখর জামান, ইমাম উল হক, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলি, শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, হাসান আলী, জুনায়েদ খান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।