ঢাকা: জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাসির উদ্দিন পিন্টু স্মৃতি সংসদের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের রেখে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। আরে ঐক্য তো হয়েছে আপনাদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। আপনারা জনগণের অধিকার হরণ করেছেন তার বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য হয়েছে তাদের নিয়ে আবার কিভাবে ঐক্য হয়। তবে হতে পারে। আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান। তারপর জনগণের যে পাঁচটি দাবি সেগুলো মেনে নিয়ে দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতার ঘোষণা দেন। তাহলে আমরা আপনাদের স্বাগত জানাব। কিন্তু এটা তাদের কথার কথা। এটা মেনে নেয়ার সাহস ও শক্তি আওয়ামী লীগের নেই। তারা পারবেনা। তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যপারে জনগণ আজকে ঐক্যবদ্ধ ।
নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্দলীয় নিরোপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন করতে হবে, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং ইভিএম বাতিল করতে হবে। এসব ইস্যুতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ছাত্র যুবক সব ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এটাকে মোকাবিলা করার সাহস নেই সরকারের। তাই এখন আবোল তাবোল বকছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ সাজানো মামলায়, ভিত্তিহীন মামলায় কারাগারে। এখন একটি পরিত্যক্ত কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম দেশনেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে সরকারি চিকিৎসক দিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু কথা রাখেননি। তারা যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছেন সেই ডাক্তাররাও বলেছেন বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়ার কথা। কিন্তু সরকার তা করেনি। খালেদা জিয়াকে এভাবে তিলে তিলে শেষ করে দিতে চাইছে।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। জার্মানির একটি গবেষণায় এটা বলা হয়েছে।
হামলা মামলার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৬ টি। এগুলো কেন করছে সরকার। তারা ভয়ে এগুলো করছে । বিএনপি নেতাকর্মী যারা আগামী নির্বাচনে ভুমিকা রাখতে পারে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। আমাদেরও গ্রেপ্তার করতে পারে। কারণ তারা বিরোধীদের জেলে ভরে ৫ই জানুয়ারির মতো আরেকটা নির্বাচন করতে চায়। আওয়ামী লীগের যারা প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের জেলে নিয়ে তারা একটি নির্বাচন করতে চায়। কারণ তারা ভয় পায় খালেদা জিয়াকে। তার দলকে, দলের লোককে। এসময় তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন এদেশে হতে পারে না। খালদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ নির্বাচন একই সূত্রে গাথা।
নাসির উদ্দিন পিন্টু স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক সাঈদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।