নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় বখাটে মফিজুল ইসলাম (১৮) কে গ্রেফতার করেছ পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মনোহরদী পৌর মেয়রের সহায়তায় গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো সরাইকান্দী গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে মফিজুল ইসলাম। তবে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিল সে। এরই জেরে বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় সরাইকান্দী গ্রামের নীলু মাঝির কলাবাগান সংলগ্ন এলাকায় তানজিমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মফিজুল। পরে গুরুতর আহত তানজিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে তৎপর হয় আইন শৃংখ্যলা বাহিনী। বখাটে গ্রেফতারের জন্য সন্ধান দাতার জন্য ৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার সাইফুল্লা আল মামুন। এরই মধ্যে বখাটের অবস্থানের সংবাদ পান মনোহরদী পৌরসভার মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন। সে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পৌর মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বারতোপা গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে সেখানে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় বখাটে মফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মনোহরদী থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামন বলেন, কুপিয়ে আহতের ঘটনায় বাবা তারা মিয়া থানায় মামলা করেন। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসি।