ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম কলেজ শাখা বাতিলের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম. কায়সার উদ্দিন। ছাত্রলীগের এ পক্ষটি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসাবে পরিচিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসাবে পরিচিত ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইয়াসির আরাফাত, আরিফ মইনুদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল আলম রনি, মিথুন মল্লিক, মো. শাকিল, মহিউদ্দিন মাহি, যুগ্ম সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন শাহরিয়ার ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করা মোস্তফা কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে এম কায়সার উদ্দিন দাবি করে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে ঘোষিত কমিটি বিতর্কিত, ভুয়া ও পকেট কমিটি। জামায়াত শিবির ও ছাত্রদল ঘেঁষা চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দিয়ে করা এ কমিটি আমরা মেনে নেব না। বিতর্কিত, ভুয়া ও পকেট কমিটির ইতোমধ্যে সাতজন পদত্যাগ করেছেন। তাই আমরা দ্রæত এ কমিটি বাতিল চাই। ’ তিনি বলেন, ‘মহানগর ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ ও অবৈধ। জামায়াত-শিবির ও বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের নীলনকশা হিসেবে রাতের আঁধারে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ কমিটি দিয়েছেন।
তাই দ্রæত ছাত্রলীগ মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিও বাতিল করা হোক। ’
এম কায়সার উদ্দিন বলেন, ‘যদি নির্বাচনকালীন কোনো কমিটির প্রয়োজন হতো তাহলে তা দরকার ছিল সিটি কলেজ, এমইএস কলেজ ও ইসলামিয়া কলেজে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ ও ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে অনেক বছর আগে। এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংসদ ও ছাত্রলীগের কমিটির ভিপি, জিএস, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ছাত্রত্বও চলে গেছে অনেক বছর আগে। ’
প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যের ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম কলেজের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় মহানগর ছাত্রলীগ। কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার এবং বুধবার দফায় দফায় সংঘর্ষ, অস্ত্রের মহড়া ও বিক্ষোভ মিছিল চলে। ফলে কলেজ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।