ঢাকা: একটা হ-য-ব-র-ল অবস্থা। আমি কিছুই বুঝলাম না। ওয়াহাব মিয়া বলছেন যে তিনি সারারাত ঘুমাননি। অভিযোগগুলো নিয়ে অনেক চিন্তা করেছেন। অভিযোগগুলো সিরিয়াস। আমি বললাম, এসব কি অভিযোগ যে আমি জানলাম না। আমাকে রাষ্ট্রপতি জানালেন না। তোমরা আমার বিচার করবা? সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছো? প্রধান বিচারপতিকে যদি এতো তাড়াতাড়ি সরানো যায়। এতো তাড়াতাড়ি যদি সরকারের ফর্মূলা হয়ে যায়। তাহলে বিচার বিভাগ থাকবে ? ওয়াহাব মিয়া কিছুই বলছেন না। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে সম্প্রচারিত টিভি চ্যানেল টাইম টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। নিজের আতœজীবনীমূলক ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম’ বই প্রকাশের পর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে দেশে বিদেশে।
যেখানে তিনি দাবি করেছেন বর্তমান সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চাপ ও হুমকির মুখে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এই ইস্যুতে টাইম টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন কীভাবে এবং কেন তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য হতে হয়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অব্যাহত চাপ, গৃহবন্দি, বিশেষ বাহিনীর চাপ, সুস্থ থাকার পরও কেন তাকে ক্যান্সারের রোগি বানিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, এর মধ্যে ১১টার সময় আমাকে আমার সেক্রেটারি এসে বলছে, স্যার ডিজিএফআই’র প্রধান এসেছেন আপনার সাথে কথা বলবে। তিনি এসে বললেন, স্যার আপনাকে লম্বা ছুটিতে যেতে হবে। হুয়াট? তিনি বললেন, হাই অথরিটি থেকে আমাকে অর্ডার দেয়া হয়েছে। দেখেন, আর্মি অফিসারকে দিয়ে অপদস্ত করা হয়েছে। এরপরে তো কিছুই করার থাকে না। এরমধ্যে আবার ডাক্তার আসলো। আমি বললাম আপনাদের তো ইনভাইটেশন দেই নাই। কেন এসেছেন? বললাম, কই আপনাদের কানে যে দেয়, ওইটা কোথায়? ব্লাড প্রেসার মাপে ওই যন্ত্র কোথায়? কিছুই আনেন নাই।
মুছকি হাসতেছে। বলল, স্যার আপনি বুঝেন তো। আপনি তো আমাদের চেয়েও সুস্থ। এভাবে মশকারা করলো। একদিন একজন আসে। আরেকদিন আরেকজন আসে। ৬ তারিখে রাত ১০টার সময় আবার ডিজিএফআইয়ের প্রধান আসলেন। আমাকে চার্জ করছে। স্যার আপনাকে ভর্তি হতে হবে। আপনি অসুস্থ। হোয়াট? আমি কেন ভর্তি হবো? একজন আর্মি অফিসারকে দিয়ে একজন প্রধান বিচারপতিকে একেবারে পা দিয়ে লাথি দেয়া হয়েছে। আমাকে চার্জ করেছে ডিজিএফআই চিফ। স্যার আপনাকে ভর্তি হতে হবে। স্যার আপনি অসুস্থ। তিনি বললেন, আমি যা বলছি তাই ফাইনাল। ওয়াহাব মিয়াসহ সবাইকে প্রধান বিচারপতি করার লোভ দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি ষোড়শ সংশোধনীর রায় দেয়ার আগের দিন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ ছিল না।