ভারতে গোমূত্র থেকে তৈরি জৈব সার যেমন চাষের জন্য প্রয়োজনীয়, তেমনই গোমূত্রের মধ্যে যেসব উপকারী রাসায়নিক রয়েছে, যা ঔষধি হিসাবেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও হিন্দুদের পূজা অর্চনার জন্যও গোমূত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এমনকি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক সময় দেখা যায়, অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে গো-মূত্র বা গোবর। এ নিয়ে কৌতুকও কম হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু তার পরেও দেখা গেছে অনলাইনে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে গোবর, গো-মূত্র!
অনলাইনে প্রাকৃতিক উপায়ে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি গোবর, গো-মূত্র বিক্রি শুরু করেছিল বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলী। রামদেবের দেখানো সেই পথেই এবার হাঁটা শুরু করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক প্রভাবিত সংস্থা।
এবার অনলাইনে এই গো-মূত্রের তৈরি সাবান, শ্যাম্পুসহ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি নানা প্রসাধনী জিনিস বিক্রি করতে নামছে সংস্থাটি।
মথুরায় দীনদয়াল ধাম নামে আরএসএস-এর যে কেন্দ্রটি রয়েছে সেখানেই তৈরি হচ্ছে প্রসাধনী থেকে শুরু করে পোশাক এমনকি ওষুধও।
ধামের প্রধান রাজেন্দ্র জানান, চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই জিনিসগুলো তৈরি করা হচ্ছে। তবে তার আশা, গোমূত্রের তৈরি জিনিসের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি হবে। যে জিনিসগুলো বিক্রি করা হবে তার দামও খুব একটা বেশি নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
১০ টাকা থেকে দুইশ ৩০ টাকা দামের জিনিস পাওয়া যাবে। আর বিক্রির মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে অনলাইন বিপণন সংস্থা অ্যামাজন-কে। প্রাথমিকভাবে ৩০ রকমের থেরাপিউটিক দ্রব্য বিক্রি করা হবে। সঙ্গে থাকবে ১০ রকমের পোশাকও।
তবে এ সবের মধ্যেও নজরকাড়ার মতো বিষয় হলো নরেন্দ্র মোদি ও যোগির জামা। ৫৬ ইঞ্চি ছাতির পোশাক নিয়ে লোকজনের মধ্যে কৌতুহল কম নয়। সেই জনপ্রিয়তা যে কাজে আসবে সেটা আশা করছেন সংস্থার কর্মীরা। মোদি বা যোগি জামার দাম এক একটি ২২০ টাকা। তবে যোগির জামা নতুন সংযোজন।
আরএসএস মুখপাত্র অরুণ কুমার জানান, স্থানীয়দের জন্য কাজের আরও সুযোগ করে দিতে এবং তাদের স্বনির্ভর করে তুলতে এই সিদ্ধান্ত। যদি অনলাইনে এই বিক্রি শুরু হয়, তাহলে চাহিদা বাড়বে। সেই সঙ্গে কাজেরও সুযোগ বাড়বে।