প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারি চাকরিতে এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোনো ধরনের কোটা না রেখে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ যাওয়ার একদিনের মধ্যে সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশ করলো।
সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, মো. হাবিবে মিল্লাত,শেখ হাফিজুর রহমান, আব্দুল মতিন, লুৎফা তাহের এবং সৈয়দা সায়রা মহসীন অংশ নেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, আইন সংশোধন না করে কোটা বাতিল করা যাবে না। প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন সংশোধন না করে কোটা বাতিল করলে আইনের সাথে সংঘাত হবে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত, এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।
এদিকে কোটা পর্যালোচনায় গঠিত ‘উচ্চ পর্যায়ের কমিটি’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত যে প্রাথমিক নিয়োগ হয়, সে নিয়োগে কোনো কোটা না রাখার সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে আগামী মাসেই তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে জানানো হয় যে, বর্তমানে বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। কমিটি স্বল্পসংখ্যক এ সকল হিজড়াকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে তাদের শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান, যুব তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক সহায়তা প্রদান, প্রবীণ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের বিশেষ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার পথকে সুগম করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। এছাড়া বৈঠকে গাজীপুরে অবস্থিত নারী, শিশু ও কিশোরীদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের (সেফ হোম) নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।