আট বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। তিন বছর আগে হয়েছিল রেজিস্ট্রিও।
কিন্তু বিয়ে করার কথা বলতেই ক্ষেপে গেলেন প্রেমিক। পনেরো লাখ টাকা পণের দাবি করে বসলেন তিনি। এমনকি বাড়িতে ডেকে প্রেমিকাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে সেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহরের হুগলীর খানাকুলে। এই ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে সেই প্রেমিকাকে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিককে।
জানা যায়, খানাকুলের রঞ্জিতবাটির যুবক অমিতাভ রায় ও রাউত খানার তরূণীর প্রেমের কথা জানত দুই পরিবার। প্রেমের পাঁচ বছরের মাথায় হয় রেজিস্ট্রিও। কিন্তু তারপরেই সমস্যা।
রেজিস্ট্রি হয়ে গেলেও সামাজিকভাবে বিয়ে করতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না প্রেমিক। প্রেমিকা ও তার পরিবার বিয়ের জন্য চাপ দিতেই স্বরূপ ধারণ করে অমিতাভ।
বিয়ের শর্ত হিসেবে ১৫ লাখ পণের দাবি করে অভিযুক্ত প্রেমিক। আরও অভিযোগ, বিয়ে নিয়ে কথা বলতে একদিন প্রেমিকা ও তার ভাইকে বাড়িতে ডাকে অমিতাভ। তারপর সেখানেই যুবতীকে মারধরের পর গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সেই যুবতীর সঙ্গে থাকা ভাইয়ের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তারাই উদ্ধার করেন সেই দুজনকে।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার নার্সিংহোমে ভর্তি তরূণী। অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক।