সারাদিনের কর্মব্যস্ত জীবন। অফিস হোক বা বাড়ি, এক মিনিটও ফুরসত নেই।
তার সঙ্গে হাজারো দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে রক্তের চাপ। প্রতিদিনের জীবনের মুখোমুখি তো দাঁডা়তেই হবে আপনাকে, তাও আবার নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ রেখে। আপনাদের জন্য এমন কিছু খাবারের সন্ধান যাতে রয়েছে যা আপনার উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণও করবে।
সেই তালিকায় রয়েছে মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, বিনস, মটরশুটি, কলা। এমনকি মেপে কফি খেলেও তা আপনার উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় এই নিয়ে রীতিমত গবেষণা করেছে। সেখানে দেখা গেছে, প্রয়োজনের বেশি সোডিয়াম শরীরের ভিতর না যাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে পটাশিয়ামযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়ালে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটাই সহজ হবে।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার কিন্তু বড় বিপদের হাতছানি দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন’র তথ্য বলছে, যেসব মানুষ স্ট্রোকের কারণে প্রাণ হারান তাদের মধ্যে ৫১ শতাংশ মৃত্যুতেই উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় হার্টের কোনও সমস্যা মৃত্যুর কারণ।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পটাশিয়ামের ভূমিকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার সরাসরি আপনার উচ্চ রক্তচাপকে মুঠোর মধ্যে রাখতে সক্ষম। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যত বেশি পটাশিয়ামযুক্ত খাবার রাখবেন ততই ভালো। কিডনিও ঠিকমতো কাজ করবে।
তবে প্রত্যেক মানুষের শরীরের জন্য কোনওকিছুই মাত্রাতিরিক্ত ভালো নয়। তাই আপনাকেও খেয়াল রাখতে হবে কতটা পটাশিয়াম আপনার শরীরের জন্য যথাযথ। সাধারণত বলা হয় প্রাপ্তবয়ষ্করা দিনে ৪.৭ গ্রাম পটাশিয়াম অবশ্যই নিন।
শুধুমাত্র রক্তচাপকেই নিয়ন্ত্রণ নয়, আপনার হার্টও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পটাশিয়ামের। সঙ্গে হাড়ের ক্ষমতা ও পেশির ক্ষমতাও বাড়াবে পটাশিয়াম। এর অভাবে ক্লান্তি, দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। তাই সম্ভব হলে ব্রেকফাস্ট মেনুতে কমলালেবুর রস রাখুন। রোজকার খাবারের সঙ্গে নিয়ম করে মুখে তুলুন কিসমিস, আম, কমলালেবু, নাসপাতি, রাঙা আলু।