বরিস-সাইমন্ডস প্রেমকাহিনী

Slider লাইফস্টাইল


ঢাকা:কনজার্ভেটিভ দলের সাবেক সহযোগী ক্যারি সাইমন্ডসের (৩০) সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই ঘনিষ্ঠ প্রেম জমে উঠেছে বৃটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিসন জনসনের। বিষয়টি অনেকেরই চোখে ধরা পড়েছে। সাইমন্ডসের ৩০তম জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বরিস জনসন। আর প্রতিটি মুহূর্তে তিনি সাইমন্ডসকে টেক্সট ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন। একবার তো এক বিয়ে পার্টিতে যাতে যোগ দিতে পারেন সাইমন্ডস তাই তাকে আনতে নিজের গাড়িই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন জনসন। স্ত্রী মেরিনা হুইলারের সঙ্গে ২৫ বছরের দাম্পত্যের ইতি ঘটানোর ঘোষণা দেন তিনি শুক্রবার। এরপরই বেরিয়ে আসছে সব তথ্য। বৃটিশ মিডিয়া বিষয়টিকে নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি করছে। তাতে বরিস জনসনের কার কার সঙ্গে প্রেম ছিল তা খুটিয়ে খুটিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে।

মেরিনা হুইলারের সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও দু’জনের সম্পর্কে যখন উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তখনই বরিস জনসন ঝুঁকে পড়েন সাইমন্ডসের দিকে। সাইমন্ডস এক সময় কনজার্ভেটিভ দলের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক ছিলেন। ফলে দলীয় দায়িত্বে থাকায় সাইমন্ডসকে তিনি কাছে পেয়ে যান। রাজনৈতিক যেকোন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে যেকোনো প্রাইভেট নৈশভোজে বরিস জনসনের সঙ্গে থাকতেন ক্যারি সাইমন্ডস- যেন মানিকজোড়। বৃটিশ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এতেই খুশি থাকেন নি। তিনি সারাক্ষণ টেক্সট ম্যাসেজ পাঠাতেন তার নতুন এই প্রিয়তমাকে। বিষয়টি তার স্ত্রী মেরিনা হুইলার জেনে যান। একটি সূত্র বলেছেন, বেশ কয়েক মাস ধরে বরিস ও সাইমন্ডের এই নিবিড় প্রেম একরকম ওপেন সিক্রেট হয়ে উঠেছে। এমন কেউ নেই, যাদের এ বিষয়টিতে চোখ পড়ে নি।

সবাই যেন দেখতে পায় তাই তারা এমন আচরণ করতেন বলেই মনে হয়। ওই সূত্র আরো বলেন, এটা বলা যথার্থই হবে যে, তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অবিশ্বাস্যরকমভাবে বেড়ে গিয়েছে। একজন আরেকজনকে ভীষণ বিশ্বাস করেন। দু’জনের মধ্যে রয়েছে অসম্ভব নিবিড় বন্ধুত্ব। বিষয়টি প্রথম রাজনৈতিক সহকর্মীদের মধ্যে প্রথম ধরা পড়ে ফেব্রুয়ারিতে। ওই সময় কনজার্ভেটিভ দলের বার্ষিক তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি বল পার্টি ব্লাক অ্যান্ড হোয়াইট আয়োজন করা হয়। সেখানে তারা দু’জনেই যোগ দেন। এ সময়টিতেই বিষয়টি ধরা পড়ে। এর ৬ দিন পরে তারা লন্ডনের কভেন্ট গার্ডেনে রুলস রেস্তোরাঁয় ভ্যালেন্টাইনস ডে’র নৈশভোজে যোগ দেন। অফিসিয়াল কাজের ভিতরে ও বাইরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ হতো। বিষয়টি নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটেও কথা ওঠে।

ওদিকে ক্যারি সাইমন্ডস কনজার্ভেটিভ পার্টিতে আট বছরের মতো দায়িত্ব পালন করে সম্প্রতি তা থেকে বিদায় নিয়েছেন। বরিস জনসন শুক্রবার তার স্ত্রী মেরিনার সঙ্গে সম্পর্কছেদের ঘোষণা দেয়ার পর তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায় নি। সোমবার প্রযুক্তি বিষয়ক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গে সোমবার নতুন চাকরিতে যোগ দেয়ার কথা ছিল ক্যারি সাইমন্ডসের।

এখন তাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ পাওয়ায় অনেক সহকর্মী যা দেখেছেন তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন। এক সহকর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ক্যারি সাইমন্ডস ও তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। এরই এক পর্যায়ে বরিস জনসনের কাছ থেকে টেক্সট ম্যাসেজ পেয়েছেন এটা বোঝাতে সাইমন্ডস তার মোবাইল ফোন উঁচু করে ধরে নাড়াতে থাকেন। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া এক অতিথি বলেছেন, ওই সময়ে ক্যারি সাইমন্ডস খুব ভাল সময় কাটাচ্ছিলেন। যেসব ম্যাসেজ পেয়েছিলেন তাতে তিনি থ্রিলড অনুভব করতেন। কনজার্ভেটিভ দলের প্রধান কার্যালয়ে একজন সহকর্মীকে তিনি এসব টেক্সট ম্যাসেজ দেখিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *