ফাহিমের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

Slider বাংলার মুখোমুখি


ঢাকা: বাবা, আমি ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসায় ফিরছি। গতকাল রাত পৌনে ৯ টার দিকে ফোনে মনিরুজ্জামানকে এ কথা জানিয়েছিলেন ছেলে মো. ফাহিম রাফি (২০)। কিন্তু ফাহিম বাড়ি ফিরতে পারেননি। হাতিরঝিল থেকে সোজা চলে যেতে হয়েছে হাসপাতালে। তখন তিনি মৃত্যু শয্যায়। অবশেষে রাতেই তার ঠিকানা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম শুক্রবার রাতে হাতিঝিলে দুর্ঘটনায় মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, বাসের মধ্যে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ফাহিমের এই মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।

খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, ফাহিম বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। হাতিরঝিলের চক্রাকার বাসে করে ফিরছিলেন। পরে বাসের মধ্যেই তিনি পড়ে যান। এতে তার থুতনি কেটে যায়। রক্তক্ষরণ হলে বাস থেকে তাকে স্থানীয় খিদমাহ হাসপাতালের কাছে নামিয়ে দেয়া হয়। খিদমাহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসের মধ্যে থুতনি কেটে মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক জানিয়েছেন, পড়ে গিয়ে মস্তিস্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে ।

ফাহিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগে ফাহিম তার বাবা মনিরুজ্জামানকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, ১৫ মিনিটের মধ্যে সে বাসায় ফিরে আসছে। কিন্তু পরক্ষণেই দুর্ঘটনার সংবাদ তাদের হতবাক করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *