চমেক হাসপাতালের ৪৫ শতাংশ নতুন রোগীই কোমরের ব্যাথার

Slider চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলেশন বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা নতুন রোগীর মধ্যে ৪৫ শতাংশই বেক পেইন (কোমরের ব্যাথা) এর। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা যায়।

তবে নিয়মিত ব্যায়াম, সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা এবং ওষুধ সেবন করলে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
চমেক হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বহির্বিভাগ থেকে নতুন করে চিকিৎসা নিতে আসা মোট রোগীর সংখ্যা ১৯ জন, এর মধ্যে কোমরের ব্যাথার রোগী ছিল ৯ জন। গত ১ সেপ্টেম্বর মোট রোগী ছিল ১৪ জন্য, এর মধ্যে কোমরের ব্যাথার রোগী ছিল পাঁচজন। গত ২৮ আগস্ট মোট রোগী ছিল ২৩ জন, এর মধ্যে কোমরের ব্যাথার রোগী ছিল ৯ জন।

ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলেশন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ‘মেকানিক্যাল কারণে বর্তমানে মানুষের শরীরে কোমরের ব্যাথা বাড়ছে। এর মধ্যে আছে পেশাগত কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা, ক্ষত বিক্ষত সড়কে চলাফেরা করা, রিক্সার মত হালকা যানে চলাচল করা, উপুড় হয়ে কাজ করা। তাছাড়া বিভিন্ন যানবাহনের চালক এবং গৃহিনীদের কোমর ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ ব্যাপারে শারীরিক ব্যায়মসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করলে সুস্থ থাকা যায়। একই সঙ্গে গৃহিনীরা পারিবারিক কাজ করার সময় একটু সতর্কতার সঙ্গে করলে কোমর ব্যাথা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।


গত সোমবার দুপুরে চমেক হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে গিয়ে যায়, বয়স্ক তো আছেই, অপেক্ষাকৃত কম বয়সী মানুষও কোমরের ব্যাথায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য আসছেন। আবদুল মোমিন নামের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, ‘দিনের অধিকাংশ সময় আমাকে বসে কাজ করতে হয়। গত কয়েক মাস ধরে আমি কোমরের ব্যাথায় ভুগতেছি। তাই এখন চিকিৎসকের কাছে আসলাম। ’

বাথ ব্যথা বিশেষজ্ঞ সূত্রে জানা যায়, দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনা গেলে কোমার ব্যাথা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এর মধ্যে আছে, অভিন্ন পজিসনে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ না করা, উপুড় হয়ে কাজ না করা, কোমর সোজা হয়ে বসা, কম্পিউটারের সঙ্গে বসার চেয়ারের লেভেল ঠিক রাখা, ভারী কাজ না করা, বাঁকা হয়ে উপুড় না হওয়া এবং ভারী বস্তু না ওঠানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *