ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার খবরে চমকে উঠেছিলেন তিনিও। সমগ্র ফুটবল বিশ্বের মতই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর তুরিন পাড়ি দেওয়ার ঘটনা স্তম্ভিত করেছিল তাকে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমনটাই জানালেন লিওনেল মেসি। তবে রোনালদোর উপস্থিতিতে জুভেন্টাস এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
১০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে নতুন মৌসুমে জুভেন্টাসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সিআরসেভেন। কিন্তু প্রথম দিকে এই ঘটনা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি লিও। এমনকি সেই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বার্সেলোনা তারকা জানিয়েছেন, ‘রোনালদোর ট্রান্সফার মাদ্রিদের জন্য যেমন ক্ষতি, তেমনই তার অন্তর্ভুক্তিতে জুভেন্তাস এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের অন্যতম দাবিদার। রোনালদোর প্রস্থানে রিয়াল মাদ্রিদ দলটার ভারসাম্য নষ্ট হবে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যার ফল ভুগতে হবে তাদের। ’
গত তিনবারের ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদকে অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে মানলেও মেসির সাফ বক্তব্য, জুভেন্টাস দলে এমনিতেই প্রতিভার অভাব নেই। তার উপর রোনালদোর উপস্থিতি নিশ্চিতিভাবে দলের শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।
তাই আমার মতে এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাস অন্যতম ফেভারিট দল।
লা লিগায় চির প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে তার প্রতিযোগীতা মিস করছে ফুটবলবিশ্ব। তবে তা নিয়ে বিশেষ ভাবতে রাজি নন এলএমটেন। বরং নেসি অনেক বেশি চিন্তিত ক্লাবগুলির রেকর্ড অঙ্কের চুক্তি বিষয়ে। ইউরোপের ক্লাবগুলিতে রেকর্ড বাজেটের ফুতবলার ট্রান্সফারের তালিকায় নতুন নাম ক্রিশ্চিয়ানো। এর আগে নেইমার, এমবাপে, কুটিনহোর মত ফুটবলাররা প্রত্যেকেই ১০০ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থে অন্য ক্লাবে গিয়েছেন।
এবিষয়ে মেসি জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে বদলেছে পরিস্থিতি। ক্লাবের মালিকেরা আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থের মালিক। বিরাট অঙ্কের প্রস্তাব নিয়ে বসে থাকে তারা। আর ফুটবলাররাও সেই বিরাট অঙ্কেই আকৃষ্ট হচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে মেসি আরও জানিয়েছেন, ‘আগে বার্সেলোনা অথবা রিয়াল মাদ্রিদের মত সেরা ক্লাবগুলোতে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকতেন ফুটবলাররা। কিন্তু বর্তমানে বদলেছে পরিস্থিতি। এখন ম্যাঞ্চেষ্টার, পিএসজি,বার্সেলোনা, বায়ার্ন কিংবা ইতালির ক্লাবগুলোর মধ্যে খুব একটা ফারাক নেই। ’