মানুষের যৌনতা বিষয়ে এ যাবৎকালে যত গবেষণা হয়েছে তার গোটা ইতিহাসকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হলো। ব্রিটেনে এই প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছে বিখ্যাত সব ছবি, বিরল প্রাচীন জিনিসপত্র, যৌনতাবিষয়ক সাহিত্য, ছবি এবং সিনেমা। এই প্রথমবারের মতো যৌনতা বিষয়ে কোনো প্রদর্শনী আয়োজিত হলো যেখানে ২০০টিরও বেশি যৌনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখানো হয়েছে।
সেখানে দেখানো হয়েছে যৌনতাবিষয়ক শীর্ষপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ সিগমুন্ড ফ্রয়েড, মারি স্টোপস এবং আলফ্রেড কিনস্কির গবেষণাকর্ম।
‘ইনস্টিটিউট অব সেক্সলজি’ নামে ওই প্রদর্শনীতে আরো দেখানো হয়েছে যৌনতা বিষয়ে উইলিয়াম মাস্টার্স এবং ভার্জিনিয়া জনসনের ঐতিহাসিক গবেষণা। মানুষের যৌনতা বিষয়ে ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে এই দুই গবেষক প্রথমবারের মতো বহু মূল্যবান তথ্য প্রকাশ করেন। তাদের সেই গবেষণাকর্ম উঠে আসে গোল্ডেন গ্লোব মনোনীত টেলিভিশন ড্রামা ‘মাস্টার্স অব সেক্স’-এর মাধ্যমে।
প্রদর্শনী থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মানুষের এই যৌন অনুভূতি এবং আচরণ কীভাবে বদলেছে এবং বিবর্তিত হয়েছে তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। উনবিংশ শতক থেকে আজ অবধি যৌনতাকে কীভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, এর ব্যাখ্যা হয়েছে কীভাবে তার সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
প্রদর্শনীতে যৌনতার পরিচয় বের করতে বিখ্যাত চিত্রকর জানেলি মুহলি, জন স্টিজাকার, শ্যারন হায়েস এবং টিমোথি আর্কিবাডের নামকরা সব চিত্রকর্ম আনা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, চিত্রকর নিল বার্টেট যৌনতা বিষয়ে একটি জরিপও করছেন। এই প্রদর্শনীতে আরো জমা পড়েছে বহু নাম না জানা গবেষকের যৌনতা বিষয়ে অসংখ্য গবেষণা প্রতিবেদন।