বরিশালের গৌরনদীতে ছেলে ধরা সন্দেহে আমিরন্নেছা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা ভিখারিনীকে মারধর করে চোখ উৎপাটন চেষ্টার অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভিখারিনীর স্বামী মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার দক্ষিণ রাজদি এলাকার হাকিম তালুকদার বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি আবুল কাশেম সরদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক আবুল কাশেমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভিখারিনী আমিরুন্নেছা গত মঙ্গলবার গৌরনদীর ভূরঘাটা গ্রামে ভিক্ষা করতে যান। এ সময় কাশেম সরদারের শিশু কন্যা তাজমিম (২) পরিবারের সদস্যদের অজান্তে ভিখারিনীর পিছনে পিছনে প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য কামাল ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত যায়। এর কিছুক্ষণ পর শিশুর মা ঝুমুর বেগমসহ স্বজনরা শিশু তাজমিমকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। কামাল ফকিরের বাড়িতে গিয়ে শিশুর স্বজনরা ওই ভিখারিনীর পাশে শিশু কন্যা তাজমিমকে বসা দেখতে পান। তখন ছেলে ধরা সন্দেহে শিশুর স্বজনসহ প্রতিবেশীরা আমিরন্নেছাকে বেদম মারপিট করে বাড়ির পাশের রাস্তায় নিয়ে তার ডান চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করে। ওই দিন দুপুরে গ্রামবাসী ভিখারিনীকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। গুরুতর অবস্থায় ভিখারিনীকে গতকাল বুধবার কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
গৌরনদী থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম জানান, গত বুধবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল এবং কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে চিকিৎসাধীন আমিন্নেছাকে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। এরপর চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ছেলে ধরা সন্দেহে ভিক্ষুকের ওপর হামলার ঘটনায় ভিক্ষুকের স্বামীর দায়ের করা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।