গাজীপুর: গাজীপুর জেলার ইতিহাসে সাংবাদিক হয়রানী, অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে গত চার বছরে। নতুন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম যোগদানের পর থেকে সাংবাদিকদের ক্ষোভ প্রকাশের মাত্রা সে ইঙ্গিত স্পষ্ট করেছে। এই নির্যাতনের কারণ হিসেবে শুধু পুলিশকে দোষারোপ করলে ভুল হবে। সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানীর নেপথ্যে ছিল একটি সাংবাদিক সিন্ডিকেট। গত চার বছরে ওই সাংবাদিক সিন্ডিকেট রাজনৈতিক খোলস পাল্টিয়ে বিদায়ী পুলিশ সুপার হারুনর রশীদকে দিয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের রেকর্ড তৈরী করেছে যা অতীতকে হার মানিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত চার বছরে সাবেক পুলিশ সুপার হারুনর রশীদের সময় ৮ সদস্যের একটি সাংবাদিক সিন্ডিকেট গাজীপুর জেলার সকল সাংবাদিকদের পুঁজি করে তৎকালিন পুলিশ সুপারের সাথে হারুনর রশীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। চার বছর ধরে চলা ধারাবাহিক জুয়ার আসর পরিচালনা করে পুলিশের সহযোগিতায় সকল সাংবাদিকদের মাথা বিক্রি করে টাকা নিয়ে ওই সিন্ডিকেট বিপুল পরিমান টাকার মালিক হয়। রাজনৈতিকভাবে সরকার বিরোধী হলেও ক্ষমতাসীন দলে হাইব্রিড হয়ে তারা ওই ব্যবসা পরিচালনা করে। কোন সাংবাদিক জুয়ার আসর, হোটেল ব্যবসা. মাদক সহ নানা অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করলে তাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে এমনকি সন্ত্রাসী দিয়ে রক্তাক্ত জখম করাও হয়েছে।
জানা যায়, অপরাধ ধামাচাপা দিতে ওই সিন্ডিকেট পুলিশ দিয়ে সাংবাদিক জেলে রেখে অবৈধ উৎস থেকে টাকা নিয়ে বিদেশ ভ্রমন পর্যন্ত করেছেন ওই সিন্ডিকেট। ওদের সংশ্লিষ্টতায় জুয়ার আসরে সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানীর পর দুই জন জুয়াড়ী খুনের ঘটনাও ঘটেছে। ওই দুটি হত্যা মামলায় বাদীদের হুমকি দিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করিয়ে তারা মামলা দিয়ে হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিয়েছে।
চলবে——–