খুন হলেন আরেকজন সাংবাদিক। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘আনন্দ টিভি’র পাবনা জেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা দৈনিক জাগ্রত বাংলার প্রকাশক ও সম্পাদক সুবর্না নদীকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে এগারোটার দিকে পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বর্তমান সরকারের দশ বছরে সাংবাদিক খুনের এটি ৩৩তম ঘটনা। এর আগে সাগর-রুণীসহ ৩২জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন।
সাংবাদিক সুবর্না নদী হত্যার ঘটনায় বিএফইউজে’র পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।
পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাবনা পৌর সদরের রাধানগর মহল্লায় আলীয়া মাদ্রাসার পশ্চিম পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। বাসার কলিংবেল টিপে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাকে ডেকে বের করে। সুবর্না নদী গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে তাকে অতর্কিতভাবে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও বলেন, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরে মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক কাজী বাবলা বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাদের জানিয়েছেন, ১০/১২ জন সন্ত্রাসী কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে এসে তাকে কুপিয়ে তারা দ্রুত বেগে চলে যায়। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, সুবর্না নদী আনন্দ টিভির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে একটি অনলাইন পত্রিকা দৈনিক জাগ্রত বাংলা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ৯ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।