গাঁজা বৈধ করা হবে কিনা তা নিয়ে প্রায় ২৫ বছর ধরে বিতর্ক চলছে সুইজারল্যান্ডে। পৃথিবীর অনেক দেশের মত সুইজারল্যন্ডেও চিকিৎসাকাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ, তবে গাঁজা চাষ এবং বিক্রি করা এখনও সেখানে আইনগত ভাবে অবৈধ।
তাই বিশেষ অনুমতি বাদে খামারিরা এখানে গাঁজা চাষ করতে পারে না।
সরকার অনুমোদিত ফার্মাসিস্ট ড্যানিয়েলা আইগামেন জানান, ওষুধ হিসেবে গাঁজা ব্যবহার শুরুর প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় খৃষ্টের জন্মের ২৭০০ বছর আগে চীনে। চীনের সম্রাট চেন-নুং ম্যালেরিয়া ও বাত সংক্রান্ত রোগ নিরাময়ে গাঁজা ব্যবহার করেছিলেন।
আইগামেনের কাছ থেকে ওষুধ হিসেবে গাঁজা কেনেন সুইজারল্যান্ডের কয়েকশ’ মানুষ। তাদেরই একজন বার্নাডিক্ট নিকলাউস। তিনি গাঁজা ব্যবহার করেন শরীরের ব্যাথা উপশমের জন্য। বার্নাডিক্ট নিকলাউস বলেন, স্কলিওসিস রোগের কারণে ছোটকাল থেকেই আমার পিঠে ও কোমড়ে তীব্র ব্যথা হতো। ব্যথা উপশমের জন্য সবধরণের ওষুধ আমাকে দিয়েছে ডাক্তাররা, এমনকি মরফিনও। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি।
একসময় মনে হতো এই ব্যথা না কমলে জীবনই আর রাখবো না। ‘ নিকলাউস বলেন, গাঁজা ব্যবহার করার পর থেকে তার ব্যথা অনেক সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
সুইজারল্যান্ডে তার মতো অনেকেই নানা ধরনের রোগের প্রতিকার পেয়েছেন গাঁজা ব্যবহার করে। এসব কারণে বিশ্বের অনেক দেশই চিকিৎসা কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করেছে। সুইজারল্যান্ডে এরকম ব্যবহার বৈধ হলেও এ বিষয়ে আরো গবেষণা চালানোর তাগিদ দিচ্ছে সরকার।
সুইজারল্যান্ডে গাঁজাকে বৈধতা দেয়ার পক্ষের মানুষ বলছে গাঁজা বৈধ হলে চিকিৎসাকাজে ব্যবহারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভবান হবে দেশ।
আর বিপক্ষের লোকজনের বক্তব্য এটিকে এখনো বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই মাদক হিসেবে মনে করা হয়। আর চিকিৎসক ও রসায়নবিদদের মতে, আর্তমানবতার খাতিরে অন্তত চিকিৎসাকাজে গাঁজাকে বৈধতা দেয়া উচিত। সূত্র: বিবিসি বাংলা