৮ দিন চালু থাকার পর কয়লার অভাবে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটটি বন্ধ হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দিনাজপুরসহ রংপুরের ৮ জেলার লো ভোল্টেজ সমস্যা এড়াতে গত ২০ আগস্ট বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২ নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সংরক্ষন) প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বড়পুকুরিয়া খনির ফেইজ উন্নয়নকালীন প্রাপ্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন কয়লার সরবরাহ পাওয়ায় ২ নম্বর ইউনিটটি সাময়িকভাবে চালু করা হয়েছিল। কয়লা না থাকায় মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এক লাখ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া খনিতে উৎপাদনে যে কোনো সমস্যা মোকাবেলায় আপদকালীন মজুদ হিসেবে কয়লা বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২২ জুলাই রাত ১০টা ২০ মিনিটে জ্বালানি সংকটে পড়ে দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ও ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার দু’টি ইউনিট রয়েছে। কেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনে থাকলে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ২শ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৩১৪ নম্বর ফেইজে উৎপাদন যন্ত্রপাতি স্থাপন কাজ চলছে।
যন্ত্রপাতি স্থাপন কাজ শেষ করতে পারলে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর কয়লা উত্তোলন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।