বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে জোরালো কর্মসূচি আসছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের যৌথভাবে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রতিদিন কোনো না কোনো কর্মসূচি থাকে, আবারও কর্মসূচি আসছে, সময় মতো জোড়ালো কর্মসূচি আসছে। ঠিক সময়ে জানতে পারবেন কেমন কর্মসূচি আসছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণমাধ্যমের ওপরে আমাদের প্রচণ্ড আস্থা আছে। কিন্তু গণমাধ্যম কী তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন? তারা এমন সব রিপোর্ট করছেন, নিউজ দিচ্ছেন, যা বিভ্রান্ত তৈরি করছে, যেগুলো সঠিক নয় সেগুলো আপনারা বলছেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য নয়। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে যদি আজকে এমন দেখা যায় যে বিএনপি নির্বাচনে গেলো না, সে নির্বাচন কখনওই গ্রহণযোগ্য হবে না, কোনো দিন হতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনটাকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য, নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব রয়েছে, সেই সঙ্গে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ সকলের দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া উড়ে এসে রাজনীতিতে বসেননি। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর অনেকে ভেবেছিল বিএনপি শেষ, ভেঙে যাবে। কিন্তু তখন খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী পতাকা হাতে দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ।