ভবিষ্যতে নিরাপদ ও ভালো থাকার গ্যারান্টি পেলেই আওয়ামী লীগ সংলাপে বসতে এবং নির্বাচন দিতে রাজি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগকে যদি আমরা এই গ্যারান্টি দিতে পারি যে, ভবিষ্যতে তারা বিরোধী দলে গেলে তাদের সম্পদে হাত দেব না, তারা নিরাপদ ও ভালো থাকবেন; তাহলেই তারা সংলাপেও বসবেন, নির্বাচনও দেবেন।
‘আওয়ামী লীগ যে পরিমাণ অন্যায় করেছে, লুট করেছে, খুন করেছে, গুম করেছে, দুর্নীতি করেছে তাতে তাদের স্থান নরকেও হবে না। এ কারণে তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত। এখন তারা ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায়। ওটা পেলেই তারা সংলাপে বসবে, নির্বাচন দেবে।’
একটু ফোঁস করলেই সরকার পড়ে যাবে মন্তব্য করে গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে যতটুকু জোরে কথা বলছে, তাদের অন্তরে অত জোর নেই। তারা যে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না- এটা ভালো করেই বুঝে ফেলেছে। তাই ২০১৩ সালের মতো অত বড় আন্দোলনের দরকার নেই। একটা ছোট্ট আন্দোলন করতে পারলেই সরকার পড়ে যাবে।
বর্তমান সরকারকে ‘পাকিস্তানের হানাদারদের’ মতো ‘দখলদার সরকার’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই অবৈধ সরকার লজ্জার মাথা খেয়ে নিজেদেরকে কেবল নির্বাচিত সরকার বলেই দাবি করে না, বরং ২০৪২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
দানবের রাজ্যে মানবাধিকারের কথা বলা অযৌক্তিক এমন মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, দানব শায়েস্তা করার জন্য আমাদের যা করা উচিৎ তা যদি করতে না পারি তাহলে এই সভা-সেমিনার করে কোনো লাভ নেই।
আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, তেঁতুল ও দুধ যেমন একপাত্রে রাখা যায় না, তেমনি আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র পাশাপাশি রাখা যায় না। তাই আওয়ামী লীগের আমলে গণতন্ত্রের জন্য চিৎকার না করে যা করা উচিৎ তাই যদি করতে পারি তাহলে জনগণ আমাদেরকে মাথায় করে নাচবে।
বিএনপির প্রচার বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গত আন্দোলনে খালেদা জিয়ার বাসার সামনে ৫টি বালুর ট্রাক দিয়ে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিলো। এবার ৫টি কেন ১৫টি ট্রাক দিলেও আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। জনগণ ওই ট্রাক দুমড়ে-মুচড়ে ফেলবে।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক হামদুল্লা আল মেহেদী প্রমুখ।