বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রাজ কাপুর নির্মিত আরকে স্টুডিও। বহু সুপার-ডুপার হিট ছবির শুটিং হয়েছে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টুডিওতে।
এসব ছবির মধ্যে অন্যতম ‘আওয়ারা’ (১৯৫১), ‘শ্রী ৪২০’ (১৯৫৫), ‘মেরা নাম জোকার’ (১৯৭০), ববি (১৯৭৩)।
সাত দশকের পুরনো স্টুডিওটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজ কাপুরের ছেলে ঋষি কাপুর। তিনি বলেন, এ স্টুডিওর সঙ্গে আবেগ তো মিশে আছেই। কিন্তু কী করা যাবে? স্টুডিয়োর ব্যয়ভার বহন করা প্রায় হাতি পোষারই সমান হয়ে যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, স্টুডিওর সঙ্গে আমাদের ভাইদের বন্ধন অটুট। কিন্তু আমাদের নাতি-নাতনিরা? ওদের মধ্যে কোনও দিন কোনও মতপার্থক্য দেখা দিলে কী হবে স্টুডিওর। যেভাবে রোজ রোজ কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, সে ভাবেই শেষ হয়ে যাবে আর কে স্টুডিয়ো।
ঋষি বলেন, পরিবারের মানুষজনের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবেই। তাই বলে কি আর কে স্টুডিওর ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেবে আদালত? আমার বাবা কি তার বহু কষ্টের ফসল ভবিষ্যতে আদালতের চৌহদ্দির মধ্যে দেখে খুশি হতেন?
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রিয়্যালিটি শো ‘সুপার ডান্সার’ এর শুটিংয়ের সময়ে আগুন লাগে আর কে স্টুডিওতে।
নার্গিস, বৈজন্তীমালা থেকে শুরু করে ঐশ্বরিয়া রাইদের পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে তাদের গয়নাগাটিও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় ‘মেরা নাম জোকার’-এর সেই মুখোশ, ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বহতি হ্যয়’-এর বন্দুক। ‘আওয়ারা’, ‘সঙ্গম’, ‘ববি’ এই সব ছবিতে ব্যবহৃত সেই বিরাট পিয়ানো প্রায় শেষ হয়ে যায়। এরপর নতুন করে আর সংস্কার করা হয়নি স্টুডিওটি।
আর কে স্টুডিও কবে বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে ঋষি কাপুর বলেন, হতে পারে দু’দিন, দু’মাস। হয়তো বা দু’বছরও লেগে যেতে পারে।