গাজীপুর: শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে জরুরী রোগী আনা নেয়ার জন্য ব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কঠিন বানিজ্য হয়। নামে মাত্র টেষ্ট দিয়ে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করার সংস্কৃতি এখানে চিরায়ত। এই সংস্কৃতির কঠিন উপকরণ এ্যাম্বুলন্স ব্যবসা। কোন রোগী রেফার্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ালে থাকা এ্যাম্বুলেন্সের লোকজন রোগীকে দ্রুত বেড থেকে গাড়িতে নিয়ে যায়। অনেক সময় রোগীর লোকজন আসার আগেই রোগী এ্যাম্বুলেন্সে চলে যায়।
সরেজমিন জানা যায়, শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজে সরকারীভাবে এ্যাম্বুলেন্স আছে দুটি। এরমধ্যে একটি নষ্ট। অপরটি সচল থাকলেও যাতায়াত করে খুব কম। রোগী না থাকায় এ্যাম্বুলেন্স কম চলাচল করে বলে অজুহাত থাকলেও প্রতিদিন কাজ করে ১৮টি এ্যাম্বুলেন্স। একটি সরকারী ও ১৭টি বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স। এই সকল এ্যাস্বুলেন্স রোগী রেফার্ড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে গাড়িতে তুলে নেয়। ভাড়ার বিষয়টি হল পরে। রোগীর লোকজন দেখে ভাড়া নেয়া হয়। বড় লোক রোগীর জন্য এক রকম ও গরীব রোগীর জন্য একটু কম। তবে এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া আকশাচুম্বি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৭টি এ্যাম্বুলেন্স চলছে নানা প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে। নেতা, সরকারী কর্মকর্তা, পুলিশ সহ নানা ধরণের ক্ষমতাবান লোকদের দোহাই দিয়ে এসকল এ্যাম্বুলেন্স রোগী জিম্মি করে টাকা আদায় করছে। এ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া আদায়ের সিস্টেমই বলে দেয় এটা ভাড়া না মুক্তিপন?
সূত্র বলছে, এই এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসার সঙ্গে হাসপতাল কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার ও আনসারও জড়িত। এদের সহযোগিতায় চলছে রোগী নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা।