নারীর সান্নিধ্য পেতে যেসব দেশে ছুটে যান পর্যটকরা!

Slider বিচিত্র

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটন কেন্দ্র, সমুদ্র সৈকত, বিলাস বহুল হোটেল, দ্বীপ ঐতিহাসিক স্থান যেমন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তেমনি বিশ্বে এমন কিছু দেশ ও স্থান রয়েছে যেখানে পর্যটকরা যৌনতার ক্ষুধা মেটাতে ছুটে যান।

নারী সান্নিধ্যের আশায় পছন্দ ও সাধ্যের ভিত্তিতে পাড়ি জমান দেশে দেশে। জেনে নিন জনপ্রিয়তার নিরিখে তালিকার প্রথম দিকে থাকা কয়েকটি দেশ ও স্থানের নাম।
লাস ভেগাস:
আমেরিকার এই শহর ‘সব পেয়েছি’র ঠিকানা। কী নেই এখানে! শহরে যৌনতার রমরমা সম্পর্কে ইঙ্গিত করতে বলা হয়, ‘হোয়াট হ্য়াপেনস ইন ভোস, রিমেইনস ইন ভেগাস। ‘ এখানে যৌনতা শুধু ব্যবসা অথবা বিনোদন নয়, শরীরী ভাষা উদযাপনের মাধ্যম। মরুভূমি অধ্যূষিত নিসর্গে অচেনা সঙ্গীর দেহজ সান্নিধ্যে পর্যটকরা খুঁজে ফেরেন কাঙ্খিত সুখ।

নেপাল:
রাজধানী কাঠমুন্ডু এবং পোখরা ও তরাইয়ের শহরাঞ্চলে দেহ ব্যবসার রমরমা অবস্থা। বাণিজ্য জমে ওঠে হোটেলের দামি ঘর থেকে শুরু করে নিষিদ্ধ পল্লির অন্ধকার আস্তানায়। কাঠমুন্ডুর থামেল এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ম্যাসাজ পার্লার, যেখানে অবৈধ দেহ ব্যবসার পসার সাজানো।

এছাড়া বিভিন্ন রেস্তোরাঁর কেবিন ও ডান্স বারগুলিতেও মিলবে অফুরন্ত দেহজ বিনোদনের সম্ভার।
থাইল্যান্ড:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যৌনতার নতুন ঠিকানা হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে থাইল্যান্ড। ব্যাঙ্ককের বিখ্যাত ‘পিং পিং’ শো-ই হোক অথবা বিভিন্ন স্পা- এগুলোর ছদ্মবেশে মূলত যৌনতার ছড়াছড়ি। এখানে বিভিন্ন নাইটক্লাবের নামকরণ হয়েছে নারী শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গের নামে যা বিদেশি পর্যটককে সহজেই টেনে নেয় ভেতরে। দেশজুড়ে অবাধ ও নিরাপদ দেহ ব্যবসার রমরমা অবস্থা এখানে বিশ্বের নানা দেশের স্ত্রী-পুরুষকে আকৃষ্ট করছে। তাই সুযোগ পেলেই অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন সমুদ্রের কোল ঘেষা দেশটিতে।

আর্জেন্টিনা:
১৮৮৭ সাল থেকে এদেশে বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। এই কারণে এখানে সমকামী দেহ ব্যবসায়ীদের চাহিদা তুঙ্গে। সরকারের তরফ থেকেও বিশ্বের সমকামী পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যৌন পর্যটনের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চাইছে ম্যারাডোনা-মেসির এই দেশ।

বুলগেরিয়া:
যৌন পর্যটনের পীঠস্থান সানি বিচ রিসর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বাস্তব ও কল্পনার অভাবনীয় মিশেল। শোনা যায়, এই সৈকতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেহ ব্যবসায়ী ভিড় জমান। তাদের অনেকেই আসেন প্রতিবেশী দেশ থেকে।

দক্ষিণ কোরিয়া:
এদেশে যৌনতা নিয়ে রাকঢাক নেই। ক্ষণিকের শয্যাসঙ্গী জোগাড় করতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে রয়েছে একাধিক এসকট সার্ভিসের ব্যবস্থা। হোটেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়াও মেলে সুলভে।

কিউবা:
নিসর্গ, সংস্কৃতি ও চুরুটের স্বর্গরাজ্য এ দ্বীপরাষ্ট্রে প্রতি বছর পাড়ি জমান অজস্র পর্যটক। তবে পর্যটকদের বড় একটি অংশ সেখানে যান শুধুমাত্র যৌনতার আকর্ষণে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, চাইলে অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনসঙ্গীও সুলভে মেলে এই দেশে।

রাশিয়া:
গত এক দশকে রাশিয়ায় দেহ ব্যবসার রমরমা শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের পর্যটকরাই এখানে যৌনতার টানে ছুটে আসেন। তবে রুশ যৌন বাজারে দালালদের দাপট অনেক বেশি।

কলম্বিয়া:
অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা বলে যৌন পর্যটনস্থল হিসেবে ইদানীং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই দেশ। দরিদ্র দেশে এসে নামমাত্র খরচে অবাধ যৌনতার লোভে প্রতি বছর এখানে ভিড় করেন ইউরোপ ও আমেরিকার পর্যটকরা।

কম্বোডিয়া:
বিশ্বের অন্যতম বড় যৌন ব্যবসা স্থল এই দেশ। কিন্তু তার বেশির ভাগটাই অবৈধ। তবে আইনের ফাঁক গলে অবাধ যৌনতার হাতছানিতে সাড়া দিতে প্রতি বছর ছুটে যান বিশ্বের বহু পর্যটক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *