ঢাকা: ঈদের দিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ায় চার জন, সিরাজগঞ্জে ৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৩ জন এবং লক্ষ্মীপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। সড়ক পার হওয়ার সময় মারা গেছেন আরও এক ব্যক্তি। সকালে উপজেলার মাঝিরাবন্দর এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গাইবান্ধাগামী আল হামরা পরিবহনের একটি বাস মাঝিরাবন্দর এলাকায় এলে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বগুড়াগামী অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ চারজন আহত হন।
তাঁদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনজন মারা যান। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শাজাহানপুরের আড়িয়াবাজার এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নৈশপ্রহরী নিহত হন। বিকেলে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে দুজন ও সকালে সলঙ্গায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১ জন। বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী ছাগলবোঝাই একটি ট্রাক কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল এলাকায় সেতুতে ওঠার সময় সড়কের পাশে উল্টে যায়। এ সময় ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে একজন (৪৫) এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও একজন (৫০) মারা যান। পরে থানা-পুলিশ ১৫ জনকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহত ও আহত ব্যক্তিরা সবাই ছাগল ব্যবসায়ী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে গরু ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ট্রাক রাজশাহী যাওয়ার পথে সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সলঙ্গা থানার চড়িয়া কামারপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকটি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে। এ সময় নিচে চাপা পড়ে এক গরু ব্যবসায়ী মারাত্মক আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই ব্যবসায়ী মারা যান। এদিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে আজ বেলা দুইটার দিকে ট্রাক ও মাহেন্দ্রের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। অপর দিকে একই সময়ে দৌলতপুরের তারাগুনিয়ায় ট্রাকচাপায় এক শিশু মারা গেছে।
এদিকে লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের শ্যামরা এলাকায় মাইক্রোবাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফারুক হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও মুকবুল হোসেন নামে আরো এক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত ফারুক হোসেন রামগঞ্জ উপজেলা কলচমা এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে।